গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অষ্টম তলায় এক রোগীর স্বজনদের প্যান্টের বেল্ট খুলে বেধড়ক মারধর করেছেন হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা হাসপাতালের বেডে উঠে নিজেদের পেন্টের বেল্ট খুলে মারধর করছেন। এ সময় রোগীর স্বজনেরা কান্নাকাটি করছেন। এ সময় বড় বড় বাঁশের লাঠি হাতে আরও কয়েকজন যোগ দেন। এ সময় হাসপাতালের অন্যান্য রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, দেখা যায়, আনসার সদস্যরা রোগীর স্বজনদের ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর হিত এক রোগীর চিকিৎসা চলছিল হাসপাতালের ভেতরে। ঈদের রাতে
জেলার মারতা সেতুর কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় রবিউল ইসলাম নামে ওই যুবক আহত হন। শনিবার তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই দিন রাত ৯টার দিকে আহতের ভাই হাফেজ এমদাদ ফার্মেসি থেকে একটা মলম নিয়ে ওই কক্ষের সামনে যান। এ সময় ভেতরে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাউন্ড দিচ্ছেন বলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য শাহ জামাল তাঁকে বাধা দেন। একপর্যায়ে রোগীর স্বজন ও আনসার সদস্যরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শী রেজাউল ইসলাম জানান, জোর করে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে আনসার সদস্য এমদাদকে ধাক্কা দেন। পরে এমদাদও ওই আনসার সদস্যকে ধাক্কা দেন। এর পর আনসার সদস্যর সঙ্গে তাঁর হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় ওই আনসার সদস্য এমদাদকে পেটাতে থাকেন। বেশ সময় নিয়ে তুমুল মারামারি চলে।

হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা আনসারের প্লাটুন কমান্ডার মনজুর রহমান বলেন, ‘হাফেজ এমদাদ একপর্যায়ে নিজেকে রক্ষার জন্য হাসপাতালের ওয়াশ রুমে আশ্রয় নেন। ওই আনসার সদস্যকেও বেদম পেটানো হয়েছে। এ সময় অষ্টম তলায় জড়ো হন নিরাপত্তা কর্মী, বিভিন্ন রোগীর স্বজন, নার্স আর সাধারণ মানুষেরা।