মোঃ আলতাফ হোসেন বাবু স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার মোসাঃ তাসমিনা খাতুন গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে গোদাগাড়ী উপজেলায় একের পর এক পুকুর খনন অব্যাহত রয়েছে।

পুকুর খননের তথ্য সংগ্রহ কালে পুকুর খনন কারী ও ড্রেজার চালকের সাথে কথা বলার সময় বার বার গোদাগাড়ী উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার মোসাঃ তাসমিনা খাতুনের কথা উঠে আসলে তাকে মোবাইল করলে বিভিন্ন সময় তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় তার ই ধারাবাহিকতায় গতকাল তাঁর ঘুষ বানিজ্য ও বিভিন্ন অনিয়ম এর সত্যতা ও তথ্য সংগ্রহ করার জন্য গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার কার্যালয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য যাওয়া হয়।

কার্যালয়ে প্রবেশ কালে দেখা যায় সঙ্গীয় ফোর্স সহ পুকুর খনন কারী মালিক ও একজন ভ্যান চালককে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন।

বিষয় গুলো নিয়ে কথা বললে উক্ত কার্যালয়ে কর্মরত পাইলট ও অন্যান্য কর্মচারী বৃন্দ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান মোবাইল কোর্ট চলছে দশ/পনেরো মিনিটের মধ্যে আপনাকে স্যার ডাকবেন, স্যার কে আপনার সালাম দেয়া হয়েছে আপনাকে বসতে বললেন।

তাদের কথার ভিত্তিতে অফিসে বসলে কর্মরত কর্মচারী বৃন্দ অফিসের বাইরে যেতে বলেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ডেকে নেয়া হবে।

পরবর্তীতে উপজেলা ভূমি কমিশনার কার্যালয়ের নিচের মেইন গেইট বন্ধ করে মোবাইল কোর্টের নামে পার্টির সাথে আর্থিক লেনদেন বিষয়ে গোপন আলোচনা করতে পারে বলে ধারনা করা যেতে পারে।

তথ্য ও সাক্ষাৎ প্রদান করবেন বলে ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে বসিয়ে রাখেন, এমন কি অফিস অতিথি কক্ষে প্রবেশ করতে দেশা হয়নি এবং তিনি খবর পাঠান উনাকে বাইরে বসতে বলেন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাক্ষাৎ না দিয়েই বেরিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ কালে নীচের মেইন গেটের সামনে আমি আমার পরিচয় দিয়ে সালাম দেয় তিনি বলেন আমি মোবাইল কোর্ট শেষ করলাম।

আমি জানতে চাই মোবাইল কোর্টের সর্বশেষ পরিস্থিতি কি হলো? তিনি বলেন, আমি কোন সাংবাদিককে এসব বিষয়ে তথ্য দেয়না, তাৎক্ষণিক আমি উনাকে পুকুর খননের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার ক্ষমতা বলে পুকুর খনন চালিয়ে যাচ্ছি পারলে কিছু করেন এবং তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেই কিছু করতে পারেনি আপনারা কিছুই করতে পারবেন না!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার মোসাঃ তাসমিনা খাতুন মোবাইল কোর্টের নামে বিভিন্ন অনিয়ম ও পুকুর খননের মোবাইল কোর্টের নামে পার্টির কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তথা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আরও জানা যায় যে তিনি সাংবাদিক সহ অনেক কেই মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে হুমকি প্রদান করেন, সেটা আমাকেও ছাড়ে নাই।

গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার মোসাঃ তাসমিনা খাতুনের পুকুর খননের ঘুষ বানিজ্য ও সকল অনিয়ম বন্ধ সহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি প্রয়োজন।

এ বিষয়ে আজ গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলমকে মোবাইল যোগে জানানো হয়েছে।সাপ্তাহিক প্রথম আলোক ২৪