নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকা-১৮ আসন রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। ঢাকার তিনটি প্রধান প্রবেশমুখের একটি হলো আব্দুল্লাহপুর, যা বিগত সময়ে আওয়ামী সরকারবিরোধী আন্দোলনেও অত্যন্ত কৌশলগত ভূমিকা রেখেছে। ফলে রাজনৈতিকভাবে এই আসনটি সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
বিএনপির হাইকমান্ড শুরুতে ভাবছিলেন—এই আসনে যদি নতুন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া যায়, তাহলে হয়তো সংগঠনগতভাবে সমন্বয় করা সম্ভব হবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবতা ভিন্ন দিকে গেছে। বিগত দুইটি নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে যে নেতা মাঠে কাজ করেছেন, তিনি সাংগঠনিকভাবে পুরো ঢাকা-১৮ আসনকে সুসংগঠিত করেছেন।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, এই আসনের প্রায় ৭৮ শতাংশ ভোটার ত্যাগী নেতা এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনকে সমর্থন করছেন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং দীর্ঘদিন ধরে ত্যাগ, নিষ্ঠা ও মাঠের রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন। এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে আগামী দিনের এমপি হিসেবে দেখতে চান।
অন্যদিকে, বিএনপি নতুন প্রার্থী হিসেবে স্নিগ্ধকে উত্তরার রাজনীতিতে যুক্ত করলেও, দলীয়ভাবে কিংবা এলাকাভিত্তিকভাবে তার গ্রহণযোগ্যতা এখনো তৈরি হয়নি। দলের বাইরে কাউকে মনোনয়ন দিলে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহও কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমন উদাহরণ ইতিমধ্যেই দেখা গেছে ঢাকা-১৪ আসনে, যেখানে ‘মায়ের ডাক’ আহ্বায়ক সানজিদা ইসলাম তুলিকে মনোনয়ন দেওয়ার পরেও এলাকার অনেক মানুষ তাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। ফলে ঢাকা-১৮ আসনে ভুল সিদ্ধান্ত দলকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
এদিকে এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আরও রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, এক নম্বর আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, যুগ্ম আহ্বায়ক কফিল আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আফাজ উদ্দিন এবং সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
স্থানীয় ভোটারদের স্পষ্ট প্রত্যাশা—ক্ষমতাসীন অন্যায়-অত্যাচারের সময়ে পাশে থাকা ত্যাগী ও গ্রহণযোগ্য নেতা এস এম জাহাঙ্গীরকে বিএনপি হাইকমান্ড মনোনয়ন দেবে। কারণ জনগণের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের বিশ্বাস ও আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে।
এখন দেখার বিষয়—বিএনপি কি জনগণের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে ত্যাগী, গ্রহণযোগ্য নেতাকে মনোনয়ন দেবে, নাকি ভুল সিদ্ধান্তে এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটি ঝুঁকির মুখে পড়বে। সব নজর এখন বিএনপির হাইকমান্ডের দিকে।