মোঃ মাইনুল ইসলাম লাল্টু সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টারঃ শিবগঞ্জে মসজিদ নির্মান কাজে বাধা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা নির্মানের জন্য দাতা জমি দিলেও তা না করে নুরানী মাদ্রাসা চালু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছেন। ঘটনাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের উপরটোলা গ্রামে।
সরজমিনে গেলে মসজিদের জমি দাতা আলহাজ সিদ্দিক বিশ্বাস জানান আমি মসজিদ নির্মানের জন্য ৭.০৮শতক জমি দান করেছি এবং সে স্থানে মসজিদই নির্মান হবে। মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী আবু রায়হান জানান.গত শনিবার ২১মার্চ মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে গেলে মাদ্রাসা কমিটির সেক্রেটারী আলহাজ ঈশারুল বাধা প্রদান করেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মসজিদ নির্মানের কার্যক্রম বন্ধ করেন ।
মসজিদ নির্মান করলে মাফজোক করে করতে হবে। কিন্তু যেদিন জমি মাপজোক করার কথা সেদিন তিনি আসেননি।পরে জমি দাতা নিজে এসে মসজিদ নির্মানের কাজ শুরু করান।শুধু তাই নয়,মসজিদের পাশে হাফিজিয়া মাদ্রাসার নির্মানের জন্য দাতা জমি দান করলেও তা না করে নুরানী মাদ্রাসা চালু করেছে। মাদ্রাসা সংলগ্ন পাঠাগারের নামে একাধিকবার তাৃফসির হলে তার কোন হিসাব নেই। পাঠাগারের কোন অস্তিত্বও নেই
মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি কাজি মাওলানা রফিকুল ইসলাম ও আলহাজ মাওলানা ঈশারুল ইসলাম কোন হিসাব দেননি।তারা আরো জানান মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক কিবরিয়া সাম্প্রতিক কালে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে ঘরে বন্দী করে রেখেছিলেন। পরে শালিসের মাধ্যমে সমাধান করেন। শুধূ তাই নয় তরুণ শিক্ষার্থীদের দিয়ে টয়লেট পরিস্কার করিয়ে নেন।
মাদ্রাসার জমি দাতা মমিনুর রহমান জানান ২০১৯খ্রী: আমরা কয়েকজন হাফিজিয়া মাদ্রাসা নির্মানের জন্য জমি দান করলেও তারা হিফযুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার(নুরানী বিভাগ) সাইনবোর্ড লাগিয়ে নুরানী মাদ্রাসা চালু করেছে। যা আমাদের সাথে প্রতারণার সামিল।
প্রায় ২০/২৫জন এলাকাবাসী একই ধরনের মৌখিক অভিযোগ করেন। তবে মাদ্রাসা কমিটির সেক্রেটারী আলহাজ মাওলানা ঈশারুল ইসলাম সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,গ্রামে কয়েকটি জামে মসজিদ আছে তাই নতুন করে মসজিদ নির্মান করতে নিষেধ করেছি। জমির দলিল মোতাবেক মাদ্রাসার নামকরণ করা হয়েছে। শুধু পরে আমরা নুরানী বিভাগ চালু করেছি।
মাদ্রাসার উন্নয়নকল্পে তাফসির করেছি। সেখানে পাঠাগারের কোন সংশ্লিষ্টতা ইেন। তিনি আরো বলেন এ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তবে প্রধান শিক্ষক মাওলানা কিবরিয়া নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবী করে বলেন কোন প্রধান শিক্ষক নেই।
আমি সহ ছয়জন শিক্ষক দিয়ে মাদ্রাসার ২৪০জন শিক্ষার্থীর ক্লাম নিই। প্রতি শিক্ষক প্রতিদিন পাঁচটি করে ক্লাশ নিই। আমি কোন শিক্ষার্থীকে বন্দী করে রাখিনি। কাউকে প্রাইভেট পড়াই না। শিক্ষার্থীদের দিয়ে টয়লেট পরিস্কার করই না।
তারা স্বেচ্ছায় করে। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আজাহার আলি বলেন জমি দাতা ও এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দিলে দ্রুত বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।