 
     স্পেশাল করেসপন্ডেন্টঃ
স্পেশাল করেসপন্ডেন্টঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মেঘনা  উপকূল থেকে অবৈধভাব বিভিন্ন চর-চরাঞ্চলের জেলেরা অবাধে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেনু আহরণ করছে। চিংড়ির এ রেনু আহরণে প্রতিনিয়তই ধ্বংস হচ্ছে নানা প্রজাতির জলজ প্রানী ও মাছের পোনা।
উপজেলার আলেকজেন্ডার লঞ্চঘাট , সেন্টার বাজার,আলেকজেন্ডার মৎস ঘাট, বিবিরহাট , রামগতি মৎসঘাট, রঘুনাথপুর খালের মাথা,বয়ারচর উপকূলসহ আজাদ বাজার, কামাল বাজার চরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে প্রতিদিন চিংড়ির লক্ষ লক্ষ রেনুপোনা আহরণ করছে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
মার্চের শেষ সময় থেকে শুরু করে জুলাই পর্যন্ত প্রায় পাঁচ মাস উপকূলীয় অঞ্চলের হাজার হাজার নারী-পুরুষসহ জেলেরা মিলে চিংড়ি রেনু আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই প্রজনন মৌসুমে অবাধে চিংড়ি রেনুসহ অন্যান্য মাছ শিকার ও ক্রয় বিক্রয় করছেন জেলেরা। আলেকজেন্ডার লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রেনু আহরণকারীরা মশারি জাল ও ঠেলা জালে অন্যান্য মাছের পোনা ও জলজ প্রানী ফেলে দিয়ে শুধু গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেনু সংগ্রহ করছে।
প্রভাবশালী মহল চড়া দামে ক্রয় করে প্লাস্টিকের ড্রাম ও মাটির টালিতে করে খুলনা, বাগেরহাট,ঢাকা, চট্টগ্রাম ও যশোরের বিভিন্ন চিংড়ির ঘেরে অধিক মুনাফায় বিক্রি করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেনু নিধনকারী জানান বাগদা রেনু আহরণের আমার সংসার চলে এক ইঞ্চি থেকে দুই ইঞ্চি বাগদা ও গলদা চিংড়ি রেনু একশত পিস ২ শত টাকায় মহাজনদের কাছে বিক্রি করি। অভাবের সংসার তাই বেড়িবাধের কিনারায় বাস করি । অবৈধ জেনেও পেটের দায়ে এ কাজ করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, চিংড়ির রেনু প্রতি পিস এক ইঞ্চি থেকে একটু বড় সাইজের রেনুগুলো ২ থেকে আড়াই টাকায় কিনলেও সব কিছু ম্যানেজ করে প্রতি পিস রেনুর দাম পড়ে ৪ থেকে ৫ টাকা।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনকে এড়িয়ে অবাধে ধ্বংস করা হচ্ছে বিভিন্ন মাছের পোনা ও জলজ উদ্ভিদ।