নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে চিকিৎসার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা, টেস্ট বাণিজ্য ও ভুল চিকিৎসা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ৩টায় রাজশাহী বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব অভিযোগ তুলে জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানানো হয়। রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির অন্যতম সদস্য সাইদুর রহমান এ দাবি জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ। এতে সকল সরকারি দফতরের উচ্চপদস্থত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি ও বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির অন্যতম সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, রাজশাহীতে চিকিৎসার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতরণা করা হচ্ছে। ভুল ট্রিটমেন্টও দেওয়া হচ্ছে অনেককে। এছাড়া ঢালাওভাবে চলছে টেস্ট বাণিজ্য। এতে প্রতারিত হচ্ছেন রোগীরা। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
পরিবেশ প্রসঙ্গে ভাষাসৈনিকপুত্র সাইদুর রহমান বলেন, শহরের পুকুরগুলো ভরাট করা হচ্ছে, আর গ্রামগঞ্জে কৃষিজমি নষ্ট করে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এটা বন্ধই করা যাচ্ছে না, বন্ধ করা সম্ভবও নয়। সেজন্য পুকুর খনন ও ভরাটের ব্যাপারে মোটা অংকের ফি নির্ধারণ করে দেওয়া প্রয়োজন। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হবে।
শিক্ষা প্রসঙ্গে সিনিয়র এ সাংবাদিক বলেন, নগরীতে কোচিংয়ের নামে ব্যবসা চলছে। একবারে কোর্স ফি নিয়ে নিচ্ছে, এরপর অনেকেই আর ঠিকভাবে কোর্স কমপ্লিট করছে না। এভাবে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলো। সেজন্য মাসিক সিস্টেমে ফি নির্ধারণ করা দরকার। এতে শিক্ষার্থীরা কেউ প্রতারিত হবে না। কোচিং সেন্টারগুলোর ব্যপারে কড়া নজরদারি প্রয়োজন।
এ সময় নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি। বলেন, নগরীতে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল রয়েছে। ওয়ারেন্ট তামিল করা হচ্ছে। গত মাসে আরএমপির বোয়ালিয়া থানার ওসি ১৮৯টি ওয়ারেন্ট তামিল করেছেন। এটা অব্যাহত রাখতে হবে।
সভার সভাপতি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ এসব ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ও সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালনের কথা জানান।