
ফয়জুল্লাহ স্বাধীন, স্টাফ রিপোর্টার:-
আপাত দৃষ্টিতে চিড়িয়াখানার নির্ধারিত এই স্থানটি পার্কিংয়ের জন্য বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবে সেখানে গড়ে উঠেছে হকারদের “অভয়ারণ্য।” পার্কিংয়ের জন্য টেন্ডারকৃত জমিতে প্রতিদিন চলছে প্রকাশ্য বাণিজ্য। অভিযোগ রয়েছে, নির্দিষ্ট অঙ্কের মানতলি টাকার বিনিময়ে হকারদের দোকান বসানোর সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হকারদের কাছ থেকে দোকানপ্রতি ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। অথচ যানবাহনের চালকরা নিয়ম অনুযায়ী পার্কিং ফি দিয়ে প্রবেশ করলেও হকারদের দখলের কারণে তাদের চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
চালকরা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি যেন প্রকৃত অর্থেই পার্কিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হয় এবং অবৈধ হকার উচ্ছেদ করা হয়।
এ বিষয়ে হকারদের বক্তব্য জানতে চাইলে কেউই কথা বলতে রাজি হননি।
চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন,“টেন্ডারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে একাধিকবার বিষয়টি জানানো হয়েছে। এরপরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা তাকে শোকজ নোটিশ দিয়েছি।”
টেন্ডারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিপ্লবের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—অবৈধ হকারদের উচ্ছেদ করবে কে? নাকি প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গায় এভাবেই চলতে থাকবে হকারদের বাণিজ্য?