
নিজস্ব প্রতিবেদক
চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক নাশকতার ঘটনা। রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা একটি ফলবাগানের প্রায় তিন শতাধিক পেয়ারা গাছ কেটে দিয়েছে। কয়েক বছরের পরিশ্রমে গড়ে তোলা এই বাগান মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের পরিশ্রমে বাগানটি গড়ে তুলেছিলেন এক পরিশ্রমী কৃষক। তিনি নিয়মিতভাবে বাগানে শ্রম দিতেন, পরিচর্যা করতেন এবং বাজারে বিক্রির জন্য ফল তোলার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ এক রাতে দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে তার বাগানের সব গাছ কেটে ফেলে। পরদিন সকালে বাগানে গিয়ে মালিক যখন শত শত কাটা গাছ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন, তখন তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এক মুহূর্তেই তাঁর জীবনের অবলম্বন শেষ হয়ে যায়। হরিহরনগর গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়—বরং পরিকল্পিত নাশকতা বা প্রতিহিংসার ফল হতে পারে। স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, “এটা কেবল গাছ কাটা নয়, একজন পরিশ্রমী মানুষের জীবিকা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এমন নিষ্ঠুরতা আগে দেখিনি।” স্থানীয়রা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত তদন্ত ও অপরাধীদের শনাক্ত করার জোর দাবি জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও গ্রামবাসী প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন এই ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়। তারা আশা প্রকাশ করেছেন—দোষীরা যতই প্রভাবশালী হোক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। হরিহরনগর গ্রাম, জীবননগর উপজেলা, চুয়াডাঙ্গা জেলা। প্রায় ৩০০টি পেয়ারা গাছ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস। পরিকল্পিত নাশকতা বা প্রতিহিংসা।দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবীরা ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিকের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, এমন মানবিক বিপর্যয়ে সমাজের সকলেরই এগিয়ে আসা উচিত।