জামালপুর প্রতিনিধি, মো: মাজেদুল ইসলাম
জামালপুর শহরের বাইপাস এলাকায় আলো রেস্টুরেন্টে রোকসানা ইয়াসমিন দীপার মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর সকালে আশরাফুল আলম ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জামালপুর শহরের সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের পূর্ব পাশে সিংহজানী মৌজায় ৬.২৮ শতাংশ জমি মৃত গিয়াস উদ্দিন বৈধভাবে ক্রয় করে মালিকানা ভোগ করে আসছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জমির খাজনা পরিশোধ করেন এবং ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভোগদখল বজায় রাখেন। বর্তমানে তার সন্তান ও স্ত্রী উক্ত জমির উত্তরাধিকারী। ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণের জন্য উক্ত জমির মধ্যে ০১.২২ একর ভূমি অধিগ্রহণের আওতায় আসে। ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকার বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলএও) ও তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের সহযোগী মিজানুর রহমান মিজান প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন তাদের ক্ষতিপূরণ গ্রহণে বাধা দেন। মামলার ইতিহাস ক্ষতিপূরণ না পেয়ে আশরাফুল আলম পরিবার আদালতে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলা খারিজ হলেও বর্তমানে আপিল মামলা (নং-০১/২০২৫) জামালপুর জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। রোকসানা ইয়াসমিন দীপার অভিযোগ গত ৩০ আগস্ট মিজানুর রহমান মিজানের স্ত্রী রোকসানা ইয়াসমিন দীপা সংবাদ সম্মেলন করে আশরাফুল আলম ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ আনেন। এছাড়া এর আগেও তিনি জেলা প্রশাসক, র্যাব ক্যাম্প, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে একই অভিযোগ করেছেন। আশরাফুল আলম পরিবারের দাবি সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুল আলম পরিবার এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। তাদের বক্তব্য— প্রকৃত মালিকানা প্রমাণিত কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষ ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছে। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিস বৈঠক আয়োজন হলেও দেলোয়ার হোসেন গং ও মিজানুর রহমান পরিবার তা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বরং তারা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানি করছেন। পরিবারের আহ্বান আশরাফুল আলম ও তার পরিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন— “আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।”