আওরঙ্গজেব কামাল : গত জুনায়ে আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে সাইবার হামলা, ফেসবুকে মিথ্যাচার, ছবি দিয়ে মব সৃষ্টি ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে সাংবাদিকদের মানহানি ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, একইসঙ্গে বিএনপিকে সাংবাদিকদের শত্রুপক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। যাতে বিএনপি আগামী নির্বাচনে এইসব সাংবাদিকদের সহযোগিতা না পায়। যে কারণে বিএনপির ভোট ব্যাংক কমবে তেমনি অপারপক্ষ লাভবান হবে। তবে এই চক্রের মূল হোতা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে “স্বৈরাচার মুক্ত সুবিধাবাদ বিরোধী এক্সপ্রেস” নামের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি বিশেষভাবে আলোচনায় রয়েছে। এই আইডি এবং এর অনুরূপ পেজগুলো এআই-ভিত্তিক বিকৃত ছবি ব্যবহার করে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। কখনো আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে ছবি যুক্ত করে অথবা কোন একটি অনুষ্ঠানের ছবিকে পুঁজি করে কুরুচিপূর্ণ ক্যাপশন ব্যবহার করে অনেক সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ কে হেও প্রতিপন্ন করছে। আর এক্ষেত্রে বিশেষ করে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি টাকে বিএনপি’র ফেসবুক হিসাবে পরিচিতি দিয়ে সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে সাংবাদিকতা করি সে ক্ষেত্রে বিগত ১৭ বছর সরকার ক্ষমতায় ছিল সাংবাদিক হিসেবে তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা গিয়েছি । সংবাদ সংগ্রহ করেছি। সাক্ষাৎকার মুলক কার্যক্রম করতে হয়েছে। এমন ও কি সাংগঠনিক ভাবে ইচ্ছা না থাকার সত্ত্বেও অনেক অনুষ্ঠানে অতিথির হিসাবে যোগদান করতে হয়েছে। তবে তাদের রাজনৈতিকভাবে আমরা কখনো সহযোগিতা করিনি। তবে আমরা আমাদের সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছি। আমরা শুধুমাত্র নিউজের যে দায়িত্ব রয়েছে সেই দায়িত্বটা পালন করেছি। আমরা বিগত সরকারের বিরুদ্ধে অনেক লেখালেখি করেছি তার প্রমাণও আমাদের কাছে রয়েছে। সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য বিগত সরকারের সময়ে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও নানাবিধ কর্মসূচি পালন করেছি। যে কারণে অনেক সময় লাঞ্ছিত হয়েছি। যে কারণে বিগত সরকারের সময় অহেতুক মামলাও হামলা শিকার হয়েছি। তার অসংখ্য প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। সে সময়ের বিএনপি জামাত ও অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দের সাথে আমাদের একাধিক অনুষ্ঠানের ছবি রয়েছে। তাদের অসংখ্য অনুষ্ঠানের বা কর্মসূচির সংবাদ আমরা প্রচার করেছি। তবে কেন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের ছবির সাথে যুক্ত করে আমাদেরকে কুরুচিপূর্ণভাবে বক্তব্য দিয়ে ছোট করা হচ্ছে। আমরা কোন দলের নই আমরা দেশ এবং জাতির জন্য কাজ করি। সাংবাদিক যা দেখে তাই লেখে । অনেক সময় হয়তো পেশী শক্তি চাপে কিছুটা নীরবতা পালন করতে হয় তবে আমরা কখনো পিছপা হয়নি তার অসংখ্য প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,মূল অভিযুক্ত চক্রের উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট সাংবাদিক, নির্দিষ্ট ব্যক্তি সেটা যে দলের হোক না কেন তাদেরকেও প্রতিপন্ন করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করা অথবা বিএনপির ইমেজ কে নষ্ট করা। যেটা সারা বাংলাদেশ অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকা ঘিরে একদল সংগঠিত ফেসবুক সন্ত্রাসী নিম্নোক্ত অপকর্ম পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সাংবাদিক কর্মীরা। তাদের দাবি সাংবাদিকদের ছবি এআই দিয়ে সম্পাদনা করে রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত করে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এবং সাংবাদিকদের রাজনৈতিক দলের সাথে মিশে দেওয়ার অপচেষ্টা চেষ্টা করছে। এক্ষেত্র বিএনপি-বান্ধব সাংবাদিকদের টার্গেট করে চরিত্রহনন,সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি,
ফেক আইডি থেকে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দিয়ে সংঘর্ষ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা অভ্যতা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বিএনপি ঐতিহাসিকভাবে সাংবাদিকবান্ধব দল হিসেবে পরিচিত হওয়ায়, পুরোনো বিএনপি-ঘনিষ্ঠ সংবাদকর্মীদের বদনাম করার চেষ্টা স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর থেকে চক্রটি সঙ্গবদ্ধভাবে সাংবাদিক হামলা ও হয়রানি বা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে চলেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে কারণে অহেতুক ভাবে এশিয়ান টিভি সাংবাদিক শিহাব উদ্দিন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবং বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান সেলিম রহমানের বিরুদ্ধে নানাবিধ অপপ্রচার করছে একটি চক্র। কুমিল্লার দাবিদারে সালিশের নিউজ কভার করতে গেলে ৮ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আহত হয় মোঃ ইমরান হোসেন (দৈনিক খবর প্রতিদিন)
মোস্তাফিজ রহমান (চ্যানেল এইট) কামরুল ইসলাম (অনলাইন প্রেস) । এ ছাড়া আরও ৫ জন স্থানীয় সাংবাদিক আহত হন। এ সময় সন্ত্রাসীরা হামলার শারীরিক নির্যাতন, ক্যামেরা ভাঙচুর, মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসী চক্র। এছাড়া সম্প্রতি সাভার-আশুলিয়া অঞ্চল এ ফেসবুক সন্ত্রাস অনেক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা সাংবাদিকদের ছবি এআই দিয়ে বিকৃতি ও ফেক পোস্ট প্রচার করছে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে সাংবাদিকদের হারিনি করার চেষ্টা করছে। সাভার-আশুলিয়ার প্রায় অর্ধ শতাধিক সাংবাদিক ফেসবুকে হয়রানি শিকার হয়েছেন। এক্ষেত্রে স্থানীয় সাংবাদিক, জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদকমণ্ডলীর টার্গেট করে ফেসবুক পেজ ও ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। ইতিমধ্যে অনেকে লাঞ্জিত হওয়ার শিকার হয়েছে। এছাড়া গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে আগস্টের শেষ সপ্তাহে এআই সম্পাদিত ছবি ও ভুয়া রাজনৈতিক সংযোগ দেখিয়ে মানহানি তথ্য প্রচার করে। এক্ষেত্রে তাদের শিকার হয়েছে শফিকুল আলম (সময় টিভি প্রতিনিধি) মেহেদী আজাদ (নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সদস্য) বর্তমানে চক্রটি পরিবারের সদস্যদের ছবিও ব্যবহার করে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এ ধরনের একাধিক চক্র অর্থের বিনিময় রাজনৈতিক দলের মনোবাসনা পূর্ণ করার চেষ্টা করছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত সেপ্টেম্বরের শুরু হয় এমন চক্রের চক