মোঃ শাকিল রেজা সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মাত্র ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে নিজের সদ্যজাত শিশুকে বিক্রি করেছেন এক মা। ঋণের টাকা শোধ করার জন্য তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার নেপা বাজারের পিয়ারলেস হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করেছে প্রশাসন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জলুলী গ্রামের সুমাইয়া খাতুনের (২৮) দুটি সন্তান রয়েছে। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তার স্বামী মারা যান। পরে দারিদ্র্য আর ঋণের চাপে পড়ে সুমাইয়া নবজাতক বিক্রির ফাঁদে পড়েন। অভিযোগ উঠেছে, ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আয়া ইসমতারার প্রলোভন ও যোগসাজশে ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটি বিক্রি করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে পিয়ারলেস হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সুমাইয়ার সন্তান জন্ম হয়। রাত ১২টার দিকে এক নারী শিশুটিকে নিয়ে চলে যান। পরে জানা যায়, ইসমতারার প্রবাসী বান্ধবী জুঁইয়ের সহযোগিতায় শিশুটি কুমিল্লায় বিক্রি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা আক্তার রাতেই হাসপাতালে অভিযান চালান। তিনি হাসপাতালটি সিলগালা করেন এবং এর মালিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে আয়া ইসমতারাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউএনও খাদিজা আক্তার বলেন, ‘অবৈধভাবে শিশু বিক্রি মানবাধিকার ও আইন দুটোরই চরম লঙ্ঘন। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
বর্তমানে সুমাইয়া পিয়ারলেস হাসপাতালের বিছানায় চিকিৎসাধীন আছেন। শিশুটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।