 
     মোঃ বনি স্টাফ রিপোটারঃ
মোঃ বনি স্টাফ রিপোটারঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ২নং জোড়াদাহ ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের গরীব ঘরের সন্তান কামিরুল ইসলাম। এক পুত্র সন্তান নয়ন-কে ঘিরেই তার জগৎ সংসার। কখনো ছোট্ট চায়ের দোকানে আবার কখনো এক খণ্ড জমির পান বরোজে কেটে যেতো তার দিন। তবে  সংসার পরিবার পরিজন নিয়ে এখন আর ভালো কাটে না তার দিন। প্রতিদিনেই  চোখের জ্বল মুছে মুছে তার দিনের আলো শুরু হয়, আবার এক ফোটা চোখের জ্বল দিয়েই শেষ হয়। এমই এক অশ্রুঝরা কণ্ঠে কামিরুল বলেন, আমি গরিব ঘরের সন্তান বলে এই সমাজের প্রভাবশালী ভিকু মণ্ডলের ছেলে ওল্টু মণ্ডল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার স্ত্রীকে আমারই ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে রাতের আধারে তার দল বল নিয়ে আমার ১২ শতক জমির পান ক্ষেত কেটে নষ্ট করে দেয়। একের পর এক আমার ও আমার পরিবারের উপর জুলুম ও অত্যাচারীর মাত্রা বেড়েই চলছে আমি নিরুপায় হয়ে হরিনাকুন্ডু থানায় একটি মামলা দায়ের করি।
এদিকে হরিশপুর গ্রামের মোঃ আজিজুল ইসলামের পুত্র মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, কামিরুলের সাথে তার পুর্ব থেকেই শত্রুতা চলছে। সেদিন ওল্টুর সাথে কথা কাটা কাটি হয়। তার পর পরই রাতে কামিরুলের ১২ শতক জমির বরজের সব গাছ কেটে দিয়েছে। আমি এই ঘটনার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এঘটনায় জোড়াদাহ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিজানুর রহমান জানান, শুনেছি কামরুলের স্ত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার সামনেই উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আমি কোনো ভাবে তাদের মিমাংশ করার চেষ্টা করি। তারপরের দিন শুনলাম কামিরুলের পানের বরজ কাটে দেয়ার ঘটনা। আমি উভয় পক্ষকেই একটি সমাধানের চেষ্টা করছি।
এদিকে এই মামলার হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ তদন্তকারী কর্মকর্তা এ,এস,আই আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ৪ এপ্রিল থানায় একটি মামলা হয়েছে। এব্যাপারে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে, মামলাটি তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।