
মোঃ পারভেজ ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ সদরের দোগাছী ইউনিয়নের হারানঘাট গ্রামে পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) মধ্যরাত ১২টার দিকে মামলাটি হয়। সোমবার (২৪ নভেম্বর) ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- বেড়বাড়ি গ্রামের তিতাস হোসেন, জাহিদ বিশ্বাস, আতিরুল মন্ডল, আক্কাচ আলী ও সাইফুল ইসলাম।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “রবিবার বিকেলে হারানঘাট এলাকায় বিপদে পড়া দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পের পিকআপ ভ্যানে হামলা হয়। পুলিশের কাজে বাঁধা দিয়ে গাড়িটি ভাঙচুর করেন কিছু লোক।”
তিনি বলেন, “রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর দোগাছী, হারানঘাট, বেড়বাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাতে ও সোমবার সকালে এজাহারনামীয় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
এলাকাবাসী জানান, ঝিনাইদহে সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজ বিশ্বাসের মধ্যে এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে রবিবার বিকেলে হারানঘাট গ্রামের কল্যাণপুর বাজারে নজরুল ইসলামের সমর্থক মিঠু বিশ্বাসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে সিরাজ বিশ্বাসের সমর্থক গোলাম ফারুক ও রকিবুল ইসলামের ওপর হামলা চালায় নজরুল ইসলামের সমর্থকরা।
এ সময় তারা একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে সাহায্য চান। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে গাড়িতে তুললে নজরুল ইসলামের সমর্থকরা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। তারা গাড়ির ভেতরে এবং বাইরে নামিয়ে গোলাম ফারুক ও রকিবুল ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেনন। তারা পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করেন। হামলায় পুলিশের এক সদস্য সামান্য আহত হন। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আরো তিনজন আহত হন।