মো:মিল্টন হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহর কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামের মোল্লাপাড়ায় গর্ভধারিণী মাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকাজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাজমা বেগম (৫৫) নামের এক অসহায় নারীকে তারই ছেলে নাজমুল মারধর করে বসতঘর থেকে বের করে দেয়। নাজমা মৃত আতিয়ার রহমানের স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক অশান্তি চললেও সোমবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাজমুল তার মাকে নির্মমভাবে মারধর করে ঘরছাড়া করে বলে জানা যায়।
মারধরের পর অসহায় অবস্থায় রাস্তায় বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন নাজমা। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুরো এলাকায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। স্থানীয়রা জানান, নাজমা বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ। তাকে এমন নিষ্ঠুর আচরণের শিকার হতে হবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানান, মাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া শুধু আইনগত অপরাধ নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধে একটি ঘৃণ্য কাজ। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও নাজমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
ঘটনার বিষয়ে কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এ ধরনের অমানবিক ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। নাজমা বেগম যেন নিরাপদে থাকতে পারেন, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে, নাজমার স্বজনদের দাবি—নাজমুলকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তারা বলেন, “যে ছেলে মাকে আশ্রয় না দিয়ে উল্টো ঘর থেকে বের করে দেয়, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরাও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
মা-ছেলের সম্পর্ক যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র বন্ধন, সেখানে এমন নিষ্ঠুর আচরণ সমাজকে নতুন করে ভাবাচ্ছে।