নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার টাঙ্গাইল জেলার সভাপতি/চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন প্রবীণ সাংবাদিক ও মানবতার ফেরিওয়ালা জনাব আরিফুজ্জামান সোহেল সরকার। একইসঙ্গে তিনি সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন।
তার এ নির্বাচনকে শুধু একটি দায়িত্ব নয়, বরং মানবাধিকার ও জনসেবায় দীর্ঘদিনের অবদান ও নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এ খবর টাঙ্গাইল জেলার সাংবাদিক সমাজ, রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আনন্দ ও গৌরবের সঞ্চার করেছে।
জনাব আরিফুজ্জামান সোহেল সরকার একজন সুপরিচিত প্রবীণ সাংবাদিক। তিনি একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ গ্রামীণ উন্নয়ন বোর্ডের (BRDB) তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মরহুম আ. মান্নান (ভোলা চেয়ারম্যান)-এর সুযোগ্য পুত্র। পারিবারিক ঐতিহ্য, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবসেবার চেতনা ধারণ করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা ও সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)-এর স্থায়ী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, সামাজিক অসঙ্গতি দূরীকরণ এবং বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। সমাজসেবামূলক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে তার অগ্রণী ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত।
সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, মানবাধিকার রক্ষা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সমাজের অসহায় ও নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকে কাজ করাই হবে তার অঙ্গীকার।
শুধু সংগঠনের দায়িত্ব নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও সোহেল সরকার একজন মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিত। এলাকার গরীব, অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য তিনি নিয়মিতভাবে সহযোগিতা করে থাকেন। শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন কিংবা সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড— সর্বত্রই তার অবদান প্রশংসিত হয়েছে।
তার মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার সংবাদে টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সহকর্মী, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সাধারণ মানুষ আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সকলের প্রত্যাশা— তিনি তার সততা, কর্মদক্ষতা ও দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে মানবাধিকার সংস্থার কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করবেন।
মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ও মানবসেবার চেতনাকে লালন করে তিনি ভবিষ্যতেও মানবাধিকার রক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন— এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সবাই।