সাথী সুলতানা, স্টাফ রিপোর্টার:- রাজধানীর তুরাগের ১৫ নং সেক্টর দিয়াবাড়ি এলাকার ৩নং ব্রিজ সংলগ্ন একটি লেক থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত মহিলার মৃত দেহের পরিচয় সনাক্ত করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত মৃত মহিলার নাম সায়মন পারভিন (৩৬)। সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার কালীবাড়ি এলাকার মাহমুদুল হক ও সামসুন নাহারের মেয়ে।
মৃত পারভিন উত্তরা ৩ নং সেক্টর ৮ নং রোডের ৩০ নম্বর বাড়িতে স্বামী রাশেদ শরীফের সাথে বসবাস করতেন। গত ২০০৯ সালে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয় এবং তাদের ৩ টি ছেলে সন্তানও রয়েছে। রাশেদ শরীফ একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।
পরিবারের অভিযোগ প্রায় সময়ই পারভিনকে তার স্বামী রাশেদ শরীফ শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো এবং মারধর করতো, যৌতুকের টাকার জন্যই পারভিনকে তার স্বামী হত্যা করেছে বলে এমনটা দাবি পারভিনের বাবার।
জানা যায়, গত ২২ ই নভেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮ টায় স্বামী স্ত্রী মারামারির পর রাগ করে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় পারভিন, পরের দিন সন্ধায় উত্তরা ১৫ নং সেক্টর দিয়াবাড়ি লেকে ভাসমান অবস্থায় পারভিনের মৃত দেহ পাওয়া যায়।
মৃত পারভিনের বাবা মাহমুদুল হক জানায়, আমার মেয়ের জামাই প্রতিদিন রাতে দেরি করে বাসায় ফিরতো এবং আমার মেয়েকে মারধর করতো আর যৌতুকের টাকা দাবি করতো। টাকা না দেওয়ায় আমার মেয়ের জামাই রাশেদ শরীফ আর তার মেজো ভাই ও বোন জামাই মিলে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি ঢাকায় আসি আমার মেয়েকে খুঁজতে কিন্তু আমার মেয়ের জামাই আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যাবহার করে। সে বলে আমার মেয়ে নাকি কোন ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে।
এদিকে গত ২৩ ই নভেম্বর বুধবার আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে এলাকাবাসী লেকের পানিতে একটি মহিলার লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরবর্তীতে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত ওই মহিলার লাশ পানি থেকে উদ্ধার করে তুরাগ থানা পুলিশ।
তুরাগ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানায়, আমরা একটি হত্যা মামলা নিয়েছি, এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এখন কিছুই বলতে পারবো না। আমরা পারভিনের স্বামীকে গ্রেফতার করেছি বাকি ২ জন আসামি পলাতক রয়েছে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাবাদ ও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে তুরাগ থানায় মৃত পারভিনের বাবা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে