খন্দকার জলিল, জেলা ব্যুরো প্রধান, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় পানপট্টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় খেলার মাঠে এই বিশাল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম মিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও গলাচিপা–দশমিনা আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী হাসান মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার হাওলাদার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম চৌকিদার।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, জাতীয় এবং দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এ জনসভার শুভ সূচনা হয়।
প্রধান অতিথি হাসান মামুন মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময় পাক বাহিনী প্রথম আত্মসমর্পণ করেছিল পটুয়াখালী জেলার এই পানপট্টি ইউনিয়নেই। এখানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক বিজয় স্মৃতি স্তম্ভ। আমি নির্বাচিত হলে পানপট্টিকে একটি পর্যটন এলাকায় রূপান্তর করা হবে এবং অনুন্নত অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে।”
দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিএনপি যোগ্য মনে করে আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে যদি অন্য কাউকে দেয়, তবে আমি তার পক্ষেই কাজ করবো। কিন্তু অন্য দলের ভাড়াটিয়া কাউকে কোনোভাবেই মেনে নেব না।”
তিনি আরও বলেন, “নেতাকর্মীদের বলছি— কোনো সন্দেহ নেই, আপনারা আশ্বস্ত থাকুন দল আমাকে মনোনয়নই দেবে। আমি জাতীয়তাবাদী দলের হয়েই নির্বাচন করবো।”
তার বক্তব্যের প্রতিটি অংশেই উপস্থিত হাজারো জনতা করতালির মাধ্যমে সমর্থন জানান। তিনি সবাইকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ধৈর্য ও ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ আলম তালুকদার, মো. মাসুম বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মশিউর রহমান শাহিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ,
পৌর বিএনপির সভাপতি ভিপি মো. মিজানুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক মো জিয়াউর রহমান জিয়াসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকরা।
জনসভাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপি ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন থেকে বিশাল বিশাল মিছিল মাঠে এসে সমবেত হয়। পড়ন্ত বিকেলে একের পর এক মিছিল মাঠে প্রবেশ করলে পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। নারীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।