নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ থানা এলাকায় গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও আইনশৃঙ্খলা বিরোধী ও বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, দুপচাঁচিয়া থানাধীন চৌমুহনী বাজার ও ধারশুন এর মাঝামাঝি বগুড়া-নওগাঁ হাইওয়ে মহাসড়কের লাল ব্রিজের উত্তর পাশে জনৈক মোঃ আরাফাত হোসেন এর ‘পেপার মিলস’ এর উত্তরপার্শ্বে কতিপয় ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতি করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাত্রি ২:১৫ ঘটিকার সময় অভিযান পরিচালনাকালে ৮/৯ ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ডাকাত দলের সদস্য মোঃ আপেল@হৃদয় (২৭)-কে আটক করে।
এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মিনি ট্রাক, একটি খেলনা পিস্তল, একটি হাসুয়া, একটি রশি, একটি লোহার তৈরি সাবল, একটি লোহার তৈরি করাত, একটি বড় লোহার তৈরি হাতুড়ি ও দুইটি লোহার রডের হাতল উদ্ধার করা হয়।
ধৃত আসামি আপেলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,পলাতক আসামী সুমন, হৃদয়, রিপন ও বুলু পরস্পর যোগসাজসে ডাকাতির প্রস্তুতির জন্য উক্ত ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল। উক্ত আসামিসহ পলাতক আসামিগণ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা একত্রিতভাবে তাদের সঙ্গে থাকা মিনি ট্রাক এবং উপরোক্ত আলামত নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে দুপচাঁচিয়া থানা এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার মধ্যে ওঁৎ পেতে থেকে উক্ত ট্রাক দ্বারা ব্যারিকেড সৃষ্টি করে যাত্রীদের অতর্কিত আক্রমণ করে মালামাল লুণ্ঠন করে থাকে।
দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ- আবুল কালাম আজাদ জানান ধৃত ও পলাতক ডাকাতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।