মোঃ আলমগীর হোসেন রিপোর্টার:
যাঁরা আদর্শকে জীবনভর লালন করেন, ইতিহাস তাঁদের পদচিহ্নেই পথ খুঁজে পায়। জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন এমনই এক বিরল ব্যক্তিত্ব—যিনি শুধু প্রখ্যাত দলিল লেখক ও দক্ষ আমিন নন; তিনি হলেন আত্মত্যাগ, নৈতিকতা ও রাজনৈতিক বিশ্বাসের এক অটুট প্রতীক।
দীর্ঘ পথচলায় তাঁর হাতে ছিল না কোনো ঢাল, ছিল না নিরাপত্তার নিশ্চয়তা; তবু তিনি এগিয়ে গেছেন সত্য, সাহস ও দলপ্রেমকে একমাত্র অস্ত্র বানিয়ে। দেশের প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যখন অনেকে নিজ নিরাপত্তার কথা ভেবে পিছিয়ে গেছেন, তখন ইকবাল ভাই ছিলেন রাজপথের প্রথম সারির পাহারাদার—অদম্য, নির্ভীক এবং বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের এক অনন্য অভিভাবক।
জীবনের পথে পেয়েছেন অবহেলা, মুখোমুখি হয়েছেন ক্ষমতার চাপ ও নানান প্রতিকূলতা।
জেল, মামলা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন—সব কিছুই সহ্য করেছেন, কিন্তু কখনোই বদলাননি তাঁর আদর্শ, ভাঙেননি বিশ্বাসের পতাকা। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ও
এক সমৃদ্ধ পথরেখা—২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
লের দুঃসময় কিংবা রাজপথের উত্তপ্ত মুহূর্ত—সবখানেই তিনি ছিলেন প্রথম সারির সাহসী মুখ। পারিবারিক স্বাচ্ছন্দ্য, ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা—সবকিছু বিসর্জন দিয়ে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন আদর্শের কাছে।
আজও তাঁর চোখে জ্বলজ্বল করে জিয়ার আদর্শের আলো, তাঁর কণ্ঠে শোনা যায় গণতন্ত্রের দৃপ্ত উচ্চারণ। তিনি শুধু নেতা নন—
তিনি এক অধ্যায়, এক শিক্ষা—যে ত্যাগের ওপর দাঁড়ানো ভালোবাসা কখনো নিভে যায় না; সময় তাকে আরও দীপ্ত করে তোলে।
মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার গর্ব জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন ভাই, আপনার সংগ্রামী জীবন নতুন প্রজন্মকে শেখায়—
আদর্শের পথে যে অটল থাকে, তাকে সময়ই একদিন সম্মানের আসনে বসায়।
আপনার জন্য আমাদের চিরন্তন দোয়া ও শুভকামনা।
আল্লাহ আপনাকে দিন আরও শক্তি, সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সাহস। আপনার পথচলা হোক বিএনপির তরুণদের জন্য এক অনিবার্য প্রেরণার বাতিঘর।