খন্দকার জলিল, জেলা ব্যুরো প্রধান, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বিশাল জনসভা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় মধ্য রতনদী তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খেলার মাঠে আয়োজিত এ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোসা. নার্গিস সুলতানা।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও গলাচিপা–দশমিনা সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী হাসান মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার হাওলাদার। সভা সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. এমদাদ শরীফ।
উচ্ছ্বসিত জনতার উদ্দেশে হাসান মামুন তার বক্তব্যে বলেন— স্বাধীনতার পর ৪৬ বছর ধরে এ আসন থেকে বিএনপি নির্বাচিত হতে পারেনি। আলহাজ্ব শাহজাহান খান মাত্র ১৩দিনের জন্য এমপি হয়েছিলেন। আজ সুযোগ এসেছে, সাধারণ মানুষের জন্য দলের নেতাকর্মীদের কাজ করার সময় এসেছে। এরই মধ্যে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, সংসয় নেই, সন্দেহ নেই— নির্বাচন হলে জাতীয়তাবাদী দলের হয়েই নির্বাচন করবো।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী সরকারের সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর যেভাবে নির্যাতন হয়েছে এখন আবার নতুনভাবে সেই নির্যাতন শুরু হয়েছে। চর শিবা ও চর কাজল এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের দ্বারা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনাও তিনি বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী দলের পরিবর্তে অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন তারা কখনও মেনে নেবেন না। এ আসন বিএনপি ছাড়া কারও কাছে বর্গা দেওয়া হবে না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানি বা গ্রেপ্তার না হয়। প্রতিটি বক্তব্যে উপস্থিত জনতা করতালির মাধ্যমে তার কথায় সমর্থন জানান।
তিনি বলেন, জনগণ যদি তাকে নির্বাচিত করেন, এ অঞ্চলকে উন্নয়নের নতুন মাইলফলক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি সবাইকে নির্বাচন পর্যন্ত ধৈর্য ধরে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ আলম তালুকদার, মিয়া মো. মাসুম বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মশিউর রহমান শাহিন, মো. আসাদুজ্জামান সবুজ, ভিপি মো. শহিদুল ইসলাম মোল্লা, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক বৃন্দ।
জনসভাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন থেকে বড় বড় মিছিল এসে মাঠে সমবেত হয়। পড়ন্ত বিকেলে একের পর এক মিছিল মাঠে প্রবেশ করলে পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।