মোঃ ছালাম, সিনিয়র রিপোর্টার।
পিরোজপুরের, নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলায় ৭২ নং উত্তর ব্যাসকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষকের বিপরীতে ৩ জন শিক্ষক থাকার কারনে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।এমনটিই অভিযোগ করলেন শিক্ষার্থীদের অভিবাবক বৃন্দ। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিউটি রানী শারিরীক এবং মানসিক ভাবে অসুস্থ থাকায় ২ বছরের অধিক সময় ধরে পাঠদান থেকে বিরত রয়েছেন।মাঝে মধ্যে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বলে জানান বিদ্যালয়ে উপস্হিত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী বৃন্দ।
দূর্গা পূজার পর থেকে আজ-অব্দি বিদ্যালয়ে দেখা মেলেনি সহকারি শিক্ষক রানী খানমের।বিদ্যালয়ে উপস্থিত সহকারি শিক্ষক কনিকা সুতার জানান রানী খানম পূজার আগে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন। এখন তিনি ঢাকায় আছেন ঢাকায় থাকাকালীন অবস্থায় তিনি তার মেডিকেল সনদ সহকারে একটি ছুটির আবেদন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর পাঠিয়েছেন। রানী খানম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানান ম্যাডাম অনেকদিন পর্যন্ত বিদ্যালয়ে আসেন না। অন্য শিক্ষকরা আমাদের পাঠদান করান।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক স্বর্না মন্ডল জানান ওনার শ্বশুরবাড়ি ঢাকায় হওয়ার কারনে উনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসতে পারেন না। আমার বাচ্চা এইবার পঞ্চম শ্রেনীতে বৃত্তি দেবে। এমন একটা অবস্থায় আছি ছেলেটিকে যে অন্য বিদ্যালয়ে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করাব সেটাও এখন সম্ভব হচ্ছেনা। সচেতন অভিভাবকরা তাদের সন্তানদেরকে অন্যত্র নিয়ে ভর্তি করাচ্ছে।
আরেক অভিভাবক বিনয় শীল জানান আমার ছেলেটিও এবছর পঞ্চম শ্রেনীতে বৃত্তি পরিক্ষা দেবে এখনও যেটুকু সময় আছে বিউটি এবং রানী আপাকে যদি স্হানন্তর করে অন্য দুইজন শিক্ষকের ব্যাবস্হা করা যেত খুবই উপকার হতো যেটা বলে বুঝানে যাবেনা।
এই সব বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বিউটি রানীকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। রানী খানম এ প্রতিনিধির সাথে নিজেই মুটোফোনে যোগাযোগ করে বলেন আমি আমার অসুস্হতার কিছু প্রমান পত্র আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে দিয়েছি। আমি এখন বিনা বেতনে ছুটি কাটাচ্ছি তাতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আমি চাই আপনারা জেনে বুঁজে সংবাদটি প্রচার করবেন।
স্হানীয় এলাকাবাসীদের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন মেনে নিলাম রানী আপা বেতন না নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন কিন্তু ২ জন শিক্ষক দীর্ঘ দিন অনুপস্হিত থাকার কারনে বিদ্যালয়ের পাঠদান যে ব্যাহত হচ্ছে তার দায় কে নেবে?
নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা অফিসার খোন্দকার জসিম উদ্দিনের সাথে সরাসরি কথা হলে তিনি বলেন হাজিরা খাতা দেখলাম রানী খানম দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ে অনুপস্হিত। তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যাবস্হা নেয়া হবে।