প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ৯:৪৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ২২, ২০২৫, ১১:১৪ এ.এম
পটুয়াখালীতে ঘুষ কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে গেলেন নারী ও শিশু ট্রাইবুনালের পিপি এ্যাড. রুহুল আমিন সিকদার

খন্দকার জলিল-স্টাফ রিপোর্টার পটুয়াখালীতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পিপি এ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন সিকদার ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ফেঁসে গেলেন। অভিযোগ রয়েছে, সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিনে মুক্ত করতে তিনি বিচারকের বাসায় টাকা ও নথি পাঠান। বুধবার সকালে ৫০ হাজার টাকা ও মামলার নথিপত্র বিচারকের বাসায় পাঠালে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। এর আগেও তিনি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিচারকের কাছে তদবির করেছিলেন বলে জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে বিচারক নিলুফার ইয়াসমিন বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ঘটনার প্রেক্ষিতে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি এক জরুরি সভায় বসে রুহুল আমিনের সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে তাকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন এখানে ঘুষ, দুর্নীতি বা কোন স্বজনপ্রীতি প্রশ্রয় দেয় না। সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান গৃহীত রেজুলেশনের কপি জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মহামান্য হাইকোর্ট, প্রধান বিচারপতি, মহামান্য হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়। তবে অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তিনি ঘুষ তদ্বিরের সাথে জড়িত না। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় তিনি জামায়াতপন্থী আইনজীবী হিসেবে পরিচিত এবং ২০২৫ সালের জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জামায়াতের প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন।
Copyright © 2025 Matrijagat. All rights reserved.