
খন্দকার জলিল – স্টাফ রিপোর্টার :
পটুয়াখালীর গলাচিপায় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পাওয়া গেছে।
আজ ১২ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে গণ অধিকার পরিষদের শতাধিক দুষ্কৃতকারী এবং কার্যক্রম স্থগিত হওয়া আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বাহিনীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নের বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করে এবং বিএনপির একাধিক নেতা কর্মীদের ব্যাপক মারধর এবং রক্তাক্ত জখম করে। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা বিএনপির সমার্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
গন অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের গ্রামের বাড়ি গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নে। নেতা কর্মীদের সাথে ঈদ-উল আযহার শুভেচ্ছা বিনিময় করতে নিজ এলাকায় আসেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বকুল বাড়ীয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া বাজারে গণ অধিকার পরিষদের নেতা বাদল মেম্বার এর স্বরন সভা এবং দলীয় অফিস উদ্বোধন করার পরে রাত ১০টার সময় গলাচিপা রওয়ানা দিলে স্থানীয় বিএনপির সমার্থক রাস্তায় গাছ ফেলে ইট পাটকেল নিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে নুরুল হক নুর নিজ ফেজবুকে স্টাটাস দেয়। তিনি ফেজবুকে আরও বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান মামুন এর অনুসারীরা আমাকে এবং আমার নেতা কর্মীদের লাঞ্ছিত করার জন্য ইট, পাটকেল, রামদা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান মামুন তার দলের নেতা কর্মীদের ধৈর্য ধারন করে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আহবান জানিয়ে তার নিজ ফেজবুকে একাধিক স্টাটাস দেন।
উক্ত ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গলাচিপা থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নুরুল হক নুরকে নিরাপত্তার মাধ্যমে পটুয়াখালী নিয়ে যেতে চাইলে তিনি পটুয়াখালী যেতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে রাত ৪টার সময় তাকে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিয়ে গলাচিপা নিয়ে আসে। বর্তমানে তিনি গলাচিপা রেস্ট হাউজে অবস্থান করছেন। শুক্রবার বিকাল ৩:৩০ টায় সংবাদ সন্মেলন করার কথা রয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি এবং গণ অধিকার পরিষদের সমার্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট মো. মাহমুদুল হাসান শুক্রবার সকাল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত গলাচিপা উপজেলায় ১৪৪ ধরা জারি করেন।
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছেন বলে জানা যায়।