খন্দকার জলিল – স্টাফ রিপোর্টার :পটুয়াখালীর গলাচিপায় মো: হাবিবুর রহমান (৩৭) নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ইমাম মাহদী বলে দাবি করলে এলাকার সাধারন জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
গত ০৯ এপ্রিল বুধবার রাত ৮.০০ ঘটিকার সময় গলাচিপা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে খোলা মাঠে উক্ত মসজিদের ইমাম ও খতিব মো: তাওহীদুল ইসলামকে ডেকে হাবিবুর রহমান নামে ঐ ব্যক্তি নিজেকে ইমাম মাহদী বলে দাবি করে জানায় বিগত ২০১৭ সাল থেকে আল্লাহর সাথে তার সরাসরি কথোপকথন হয় এবং তার উপর কয়েকটি ওহি নাযিল হয়েছে। তিনি আরও বলেন ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারী সে আল্লাহর নুর দেখতে পায়। ২০২৫ সালের শুরু থেকে তার কাছে আর কোন ওহি নাযিল নয়নি। পূর্বে তার কাছে যে ওহি নাযিল হয়েছে তা আল কোরআনের ১১৫ নাম্বার সুরার অংশ। ২০১৭ সালে ০৪ ফেব্রুয়ারী মাগরিবের নামাজের পরে তার নিজ ঘরে বসে আল্লাহর কাছে জানতে চায় ইমাম মাহদী কে? প্রতিউত্তরে আল্লাহ জানায় ইমাম মাহদী তুমি। সেই থেকে সে নিজেকে ইমাম মাহদী বলে প্রচার করতে থাকে। অত:পর উৎসুক জনতা তাকে আটক করে থানায় নিয়ে রতনদী তালতলী ইউনিয়নের মানিকচাঁদ গ্রামের আবু তাহের খলিফার ছেলে মো: অলিউল্লাহ (৫৩) বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যাহার গলাচিপা থানার মামলা নাম্বার ০৭ তারিখ ১০/০৪/২০২৫খ্রী:
এব্যাপারে গলাচিপা থানা পুলিশের কাছে জানতে চাইলে থানা পুলিশ জানায় হাবিবুর রহমান নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করে অপরের রূপ ধারন ও প্রতারনা করে মুসলমানের ইসলাম ধর্মকে অপমান এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার ব্যপক সাক্ষ্য প্রমান পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ অপপ্রচারে তার সাথে আরও কেহ জড়িত আছে কিনা বা এ অপপ্রচারের মূল উদ্দেশ্য কি সে রহস্য উদঘাটন করার জন্য আদালতে আসামীর বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হবে।
কে এই হাবিবুর রহমান সূত্রে জানা যায় কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার পশ্চিম শাহপুর গ্রামের মুন্সী বাড়ীর মো: আমানুল্লার পুত্র। সে গলাচিপা উপজেলার বাহের গজালিয়া গ্রামের সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসায় কয়েক বছর ধরে সহকারী (গনিত) শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করে আসছেন।