খন্দকার জলিল-স্টাফ রিপোর্টার :
পটুয়াখালী জেলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এজলাস কক্ষে মামলার শুনানি কালীন সময়ে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির খবর পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায় গত ৫ আগস্টের পরে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও লুটপাট হয়। ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. শাহিন মৃধা ঘটনার বাদী নিযুক্ত হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার কলাপাড়া উপজেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চৌকি আদালতের মামলা নাম্বার জিআর ১২৭/২৫
২৫ জুন বুধবার জেলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সদস্য ও সাবেক লাইব্রেরী সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুল্লা আল নোমান উল্লেখিত মামলার আসামী পক্ষে জামিনের আবেদন করেন। আবেদন শুনানি কালীন সময়ে জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট শরীফ মো. সালাউদ্দিন বাদীপক্ষ হয়ে জামিনের বিরোধিতা করে। এসময় এজলাস কক্ষে উভয় আইনজীবীদের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আইজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি করতে দেখা যায়। এসময় বহিরাগত কিছু লোকজন এসে আদালতের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ঘন্টা খানেকের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ঘটনার পরে তাৎক্ষণিক ভাবে জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি এ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির এর সভাপতিত্বে জরুরী এক তলবি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় এ্যাডভোকেট আবদুল্লা আল নোমানকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। তিনি পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে তার দ্বারা সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারন দর্শাবেন।
এ সংক্রান্তে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট শরীফ মো. সালাউদ্দিন জানান এ্যাডভোকেট আবদুল্লা আল নোমান পরিকল্পিত ভাবে বহিরাগত লোকজন এনে আদালত প্রাঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির জানান এ্যাডভোকেট নোমান আকস্মিক ভাবে এজলাস কক্ষে কোলাহল সৃষ্টি করে এবং বহিরাগত লোকজন এনে আইনজীবী সমিতির মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি করে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এর সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ্যাডভোকেট আবদুল্লা আল নোমান
আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন সাধারন সম্পাদক তিনি অতি উৎসাহিত হয়ে বিচাপ্রার্থীদের গায়ে অন্যায় ভাবে হাত তুলেছেন এবং আমার সাথে অন্যায় ভাব হাতাহাতি করে। আমি তার সঠিক বিচার চাই।