
খন্দকার জলিল, পটুয়াখালী জেলা ব্যুরো প্রধান
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে নির্বাচনী উত্তাপ এখন চরমে। ঐতিহ্যবাহী এই আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট প্রার্থীরা মাঠে সক্রিয় হলেও, সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও তরুণ নেতা হাসান মামুন।
দীর্ঘদিন ধরে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা হাসান মামুন শুধু দলের নেতা নন, এলাকার জনগণের কাছেও তিনি একজন সৎ, পরিশ্রমী ও মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় রাজনীতিতে তার অবস্থান এখন দৃঢ় ও প্রভাবশালী, যা তাকে আসন্ন নির্বাচনে অন্যতম সম্ভাবনাময় প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। দলের দুঃসময়ে তিনি সবসময় ছিলেন রাজপথে। গ্রেফতার, মামলার ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে তিনি দলের কর্মীদের পাশে থেকেছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, তিনি শুধু দলের প্রতি নয়, জনগণের প্রতিও দায়বদ্ধ। তিনি নিয়মিত এলাকার বিভিন্ন সমস্যায় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নিজ উদ্যোগে কাজ করেছেন।
হাসান মামুনের উদ্যোগে গলাচিপা-দশমিনার বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাড়ানো, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি দলীয় ব্যানারে মানববন্ধন, অসহায় গরীব মানুষের চিকিৎসা সেবাসহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
স্বৈরাচার সরকার পতনের পর সারা দেশের তুলনায় গলাচিপা-দশমিনার সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা, তুলনামূলকভাবে শান্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করছেন। গলাচিপার স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসক বিপ্লব বলছেন, এলাকায় স্থিতিশীল পরিবেশ ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের ভূমিকা প্রশংসনীয়। ফলে এই সকল মানুষ এখন তাকে নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রশংসা করছেন। এলাকার তরুণরা বলছেন, “রাজনীতি নয়, মানবিকতায় বিশ্বাসী একজন নেতা চাই। হাসান ভাই সেই মানুষ।”
এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে হাসান মামুন ছাড়াও মাঠে রয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মনোনীত প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মো. শাহআলম মিয়া তারাও প্রচারে রয়েছেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, “দলীয় শৃঙ্খলা, অভিজ্ঞতা ও দীর্ঘদিনের মাঠপর্যায়ের সংযোগের দিক থেকে হাসান মামুন এগিয়ে আছেন।”
গলাচিপার এক ব্যবসায়ী এবং বিএনপি কর্মী আব্দুল হালিম মৃধা বলেন, “আমরা এমন একজন নেতাকে চাই, যিনি এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবেন। হাসান মামুনকে আমরা দেখেছি—তিনি কথা কম, কাজ বেশি করেন।” তার জনপ্রিয়তা এখন দলীয় গণ্ডি পেরিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে, যা নির্বাচনী মাঠে তাকে এক নতুন উচ্চতায় পৌছে দিয়েছে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে পটুয়াখালী-৩ আসনে রাজনৈতিক সমীকরণ যেভাবেই পাল্টাক, একথা এখন স্পষ্ট—হাসান মামুন এই আসনের অন্যতম আলোচিত ও সম্ভাবনাময় প্রার্থী। দলের প্রতি তার সততা, নিষ্ঠা এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেওয়া, জনসেবায় আন্তরিকতা ও মাঠপর্যায়ের সংযোগই হতে পারে তার সবচেয়ে বড় শক্তি।