মোঃ রুবেল ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলাকে বিভক্ত করে নতুন “ফটিকছড়ি উত্তর” উপজেলা গঠনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে স্থানীয় জনতা। প্রস্তাবিত উপজেলার সঙ্গে সুয়াবিল ইউনিয়ন ও নাজিরহাট পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড সংযোজনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি।
বৃহত্তর সুয়াবিল অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের এবং স্থানীয় জনতা আয়োজিত এ কর্মসূচি বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে। এসময় নাজিরহাট–কাজিরহাট আঞ্চলিক সড়কের সুয়াবিল অংশের চুরখাঁহাট বাজার ও বৈদ্যরহাট বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ ছিল,শত শত মানুষ অংশ নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।সকালের দিকে শুরু হওয়া অবরোধের কারণে নাজিরহাট–কাজিরহাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে ফটিকছড়ির উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা কয়েক ঘণ্টা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও সাধারণ মানুষ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, জনগণের মতামত ছাড়াই প্রশাসন সুয়াবিল ইউনিয়ন ও নাজিরহাট পৌরসভার অংশবিশেষকে প্রস্তাবিত ফটিকছড়ি উত্তর উপজেলায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা বলেন, “এটি সম্পূর্ণ জনস্বার্থবিরোধী ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
বক্তারা আরও বলেন, সুয়াবিল থেকে বর্তমান উপজেলা সদর মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু প্রস্তাবিত নতুন উপজেলা সদর বাগানবাজার প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। এতে সাধারণ মানুষের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সেবা গ্রহণে চরম ভোগান্তি তৈরি হবে।জনগণের মতামত উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা বলেন, সুয়াবিল ইউনিয়ন প্রশাসনিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে ফটিকছড়ি উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত এবং এখানকার মানুষ উপজেলার সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও সামাজিকভাবে গভীরভাবে জড়িত। তাই প্রস্তাবিত “ফটিকছড়ি উত্তর উপজেলা”-তে সংযোজন করলে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পাবে এবং এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সমাজসেবক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণ অংশ নেন।