মোঃ আব্দুল মান্নান টিপু স্টাফ রিপোর্টার,

ফরিদগঞ্জ: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চাঁদপুর-০৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক লায়ন মো. হারুনুর রশিদকে ধানের শীষ প্রতীকের একক প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়ে বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে গৃদকালিন্দিয়া বাজারে এ গণমিছিল বের করা হয়। এতে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে হাজারো নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বিপুল জনসমাগমে মিছিল মুখরিত — লায়ন হারুনুর রশিদের পক্ষে স্লোগানে মুখর পুরো এলাকা বিকেলের দিকে গৃদকালিন্দিয়া বাজারে জমায়েত হতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। পরে ব্যানার-ফেস্টুন, পোস্টার ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে তারা দীর্ঘ মিছিল করে বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। “ধানের শীষের বিজয় চাই, হারুন ভাইয়ের নেতৃত্ব চাই”, “ফরিদগঞ্জের মানুষ একটাই কথা বলে — হারুনুর রশিদই আমাদের প্রার্থী” — এমন নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। গণমিছিলে অংশগ্রহণ করেন ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষকদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী। উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির নেতা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। লায়ন হারুনুর রশিদই ফরিদগঞ্জের পরীক্ষিত ও জনপ্রিয় নেতা মিছিল শেষে গৃদকালিন্দিয়া বাজারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন— লায়ন মো. হারুনুর রশিদ ফরিদগঞ্জের রাজনীতিতে তৃণমূলের মানুষের আস্থার প্রতীক। তিনি অতীতে সংসদ সদস্য থাকাকালীন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানা জনকল্যাণমূলক কাজে তাঁর অবদান সর্বজনবিদিত। “ফরিদগঞ্জের মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন লায়ন হারুনুর রশিদ। তিনি দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ ও ত্যাগী নেতা। আগামী নির্বাচনে তাঁকেই ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিলে ফরিদগঞ্জে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।” সমাবেশে উপস্থিত ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি জোর দাবি জানান— লায়ন মো. হারুনুর রশিদকে দ্রুত চাঁদপুর-০৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে হবে, যাতে আগাম প্রচারণা ও সাংগঠনিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়। তারা বলেন, “তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এককভাবে লায়ন হারুনুর রশিদকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। তাঁর জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ও অতীতের সাফল্যই বিএনপির বিজয়ের মূল চাবিকাঠি।” স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়— ফরিদগঞ্জের মানুষ উন্নয়ন, যোগ্য নেতৃত্ব ও জনসম্পৃক্ত রাজনীতি চায়। অনেকেই বলেন, লায়ন হারুনুর রশিদ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে যে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা দেখিয়েছেন, তা আজও এলাকাবাসীর মনে আছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মাঠ পর্যায়ের এমন গণজোয়ার বিএনপি’র জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করছে। সঠিক সময়ে সঠিক প্রার্থী ঘোষণা করতে পারলে এই আসন পুনরুদ্ধার করা বিএনপি’র জন্য কঠিন হবে না। লায়ন মো. হারুনুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০১ সালে ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর-০৪) আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার নেতৃত্বে এলাকায় সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ও ধর্মীয় স্থাপনার উন্নয়ন ঘটে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুবদল ও ছাত্রদলের স্থানীয় নেতারা। এছাড়াও অংশ নেন ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির শতাধিক কর্মী ও সাধারণ জনগণ। বক্তারা বলেন, “দলের অস্তিত্ব রক্ষার এই সময়ে তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। আর সেই ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্ব দিতে পারেন লায়ন হারুনুর রশিদ। তিনি রাজনীতিতে সৎ, যোগ্য ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি।” ফরিদগঞ্জের মানুষ একবাক্যে বলছেন— “আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি ধানের শীষ প্রতীকে লায়ন হারুনুর রশিদ প্রার্থী হন, তবে ফরিদগঞ্জে ধানের শীষের জোয়ার বয়ে যাবে।”