স্টাফ রিপোর্টারঃ রাসেল মাহমুদ:
বরিশালের প্রতিটি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এই ছড়াছড়িতে স্থানীয় বিএনপিতে ক্রমাগতভাবে বাড়ছে গ্রুপিং এবং অভন্তরীণ বিরোধ। এই বিরোধ বর্তমানে এতটাই প্রকট যে শীর্ষস্থানীয় নেতারা একে অপরের মুখ দেখাদেখিতো দুরের কথা, কখনও কখনও বাকযুদ্ধেও জড়িয়ে পড়ছেন। সূত্র নিশ্চিত করে, মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের একে অপরের সাথে বিরোধে না জড়াতে অনেক আগে থেকেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একই নির্দেশনা দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় একটি সূত্র জানায়, বরিশালের ৬ টি আসনে যে অর্ধশত মনোনয়ন প্রত্যাশী তা খোদ তারেক রহমানও অবগত রয়েছেন। তার নির্দেশনার আলোকে প্রতিটি আসনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে বৈঠক করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম। নিশ্চিত হওয়া গেছে, বৈঠকের পরেই বরিশাল-১, ৩ এবং ৪ সংসদীয় আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী জহির উদ্দিন স্বপন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন এবং রাজিব আহসানকে গ্রিন সিগনাল দিয়ে মাঠে থাকতে বলা হয়েছে। তবে এই তিনটি আসনের বাকি মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এ খবর স্রেফ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এনিয়ে মনোনয়প্রত্যাশীদের কর্মী-অনুসারীরা তর্কযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে হাইকমান্ড বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মর্যাদাপূর্ণ বরিশাল-৫ সদরসহ বাকি তিনটি আসনেও মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতাদের কর্মী-অনুগতদের মধ্যে নানান আলোচনা শোনা যায়। এই তিনটি আসনে অন্তত ৩০ জনের বেশি ব্যক্তি ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে ত্রয়োদশ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী রয়েছেন। বরিশালের ৬টি আসনে ৫০ জনের বেশি সংখ্যক প্রার্থী নিয়ে তারেক রহমানসহ বিএনপির হাইকমান্ড চিন্তিত।
এই তথ্য নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় সূত্র জানিয়েছে, বরিশালের ৬ সংসদীয় আসনে অধিকসংখ্যক রাজনৈতিক দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি বিএনপির শীর্ষনেতৃত্ব পর্যবেক্ষক করছেন। এবং অনেককে ডেকে নিয়ে তাদের মতামতও গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে প্রতিটি আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ছড়াছড়িতে মোটেও বিচলিত নয় বিএনপি হাইকমান্ড। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, বিএনপি বড় একটি রাজনৈতিক দল। সেক্ষেত্রে এ দল থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রার্থীও বেশি। তবে দল থেকে প্রতিটি আসনের একক প্রার্থী ঘোষণার পর এখন যে গ্রুপিং দেখছেন তা দেখা যাবে না। আমার ধারণা, কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনেই সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
তবে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দলের ক্ষতি করবে না মন্তব্য করে এই নারী নেত্রী বলেন, এই মুহূর্তে দেশের স্বার্থে প্রয়োজন সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন। ওই নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে সাধারণ ভোটাররা। তারাও দীর্ঘদিন তাদের প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারেননি। আমরা আশা করছি, এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে সাধারণ ভোটাররা তাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।’