গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
বিদ্যুতের ভয়াবহ লোড শেডিংয়ে অতীষ্ট হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার জনজীবন। সকাল হতে না হতেই সূর্যের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সময় গড়িয়ে দুপুর আসতে না আসতেই সেই তাপদাহ রীতিমত অসহনীয় হয়ে উঠছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের লোড শের্ডিং এর কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গাইবান্ধা জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির মধ্যে বর্তমানে পল্লী বিদ্যুৎ এর গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে । গ্রাহকদের অভিযোগ দিনে অন্তত ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে ।
শুধু পল্লী বিদ্যুৎ নয় নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি নেসকোর গ্রাহকরাও বর্তমানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । গত দু’দিন থেকে শহরের ফিডারগুলোর গ্রাহকরা লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে পড়েছে । দীর্ঘ সময়ের শাট ডাউনের কারনে বিদ্যুৎ নির্ভর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে । গাইবান্ধা পৌর শহরের ইন্টারনেট সার্ভিসের ব্যবসায়ীরা ও বাসার ভাড়াটিয়ারা জানান, গত কয়েকদিন দিন হলো আমাদের গাইবান্ধা পৌর শহরে বিদ্যুৎ থাকছে না ফলে ফটোকপি সহ অনলাইনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারছি না। ও আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে বিঘ্ন ঘটছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের একজন গরুর খামারী জানান, আমার খামারে ১৪টি বিদেশি জাতের গরু আছে। এগুলোর জন্য ২৪ ঘন্টা ফ্যানের বাতাস দিতে হয় কিন্তু গত এক মাস ধরে পল্লী বিদ্যুৎ এর ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারনে গরু গুলো আমার মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দিনের মধ্যে তিন চারবার গোসল করাতে হচ্ছে
গাইবান্ধা সদর উপজেলার একজন বলেন, ফ্রিজে রাখা মাছ মাংস ঠিকভাবে হিমায়িত হওয়ার আগেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে ।
এদিকে লোডশেডিংয়ের কারণ হিসেবে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা সংস্থা দুইটি ভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছে ।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানায় তারা চাহিদা মতে, বিদ্যুৎতের গ্রীড স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সাপ্লাই করতে পাচ্ছে না। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় কারণে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা ব্যহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নেসকো থেকে জানায়, বিদ্যুৎতের গ্রীড স্টেশন থেকে চাহিদামতো বিদ্যুৎ পেলেও যান্ত্রিক ত্রুটি ও অরক্ষিত বৈদ্যু