
মোঃ রুবেল মিয়া সংবাদাতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মোটরসাইকেলের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় অটোচালক দেলোয়ার মিয়া (দিলু, ৪২) নিহত হয়েছেন। ঘাতকদের নির্মম নির্যাতনে বিজয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। আউলিয়া বাজারের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দেলোয়ারের কী অপরাধ ছিল যে তাকে এভাবে নির্মমভাবে নির্যাতন করে মারা হলো!” তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বাজারের সবার একটাই দাবি, ঘাতকদের ফাঁসি হোক। নিহত দেলোয়ার মিয়া ওই ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনার পর থেকে মূল অভিযুক্ত বিল্লাল মিয়া পলাতক রয়েছে। পাহাড়পুর এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিল্লাল একজন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। এলাকাবাসী নীরবতা পালন করলেও সবার একটাই দাবি, তাকে যেন ফাঁসি দেওয়া হয়, যাতে এমন ঘটনা আর কোনোদিন না ঘটে এবং কোনো মায়ের বুক খালি না হয়। বিল্লাল মিয়া পাহাড়পুর ইউনিয়নের সান্তামোড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে দেলোয়ার মিয়া তার অটোরিকশাটি নিয়ে আউলিয়া বাজারে যান। সেখানে অটোরিকশা ঘোরানোর সময় ঘাতক বিল্লাল মিয়ার দোকানের সামনে রাখা মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। এই সামান্য অপরাধের জন্য সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বিল্লাল মিয়া দেলোয়ারকে এমনভাবে মারধর করে যে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। দেলোয়ার মিয়ার আত্মীয়-স্বজন প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী বিল্লাল মিয়াকে অতি শীঘ্রই গ্রেফতার করে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হোক। এই কথা বলতে বলতে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলেন, দেলোয়ারের এমন কী অপরাধ ছিল যে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, অমানুষিক নির্যাতন ও টর্চার করে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেওয়া হলো।
বিল্লাল মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে শক্ত কাঠ দিয়ে দেলোয়ার মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় স্থানীয়রা দেলোয়ারকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকে ঘাতক বিল্লাল মিয়া পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।