মোঃ শাকিল খান রাজু সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলা-৪ (মনপুরা-চরফ্যাশন) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামালের পক্ষে মনপুরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। এতে সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলা দক্ষিণ সাকুচিয়ার জনতা বাজার এলাকা থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। হাজারো মোটরসাইকেলের এই বিশাল বহর নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ১নং মনপুরা ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া কর্মী-সমর্থকরা জানান, তারা দাঁড়িপাল্লার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে বদ্ধপরিকর।
শোভাযাত্রায় প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি ও মনপুরা উপজেলার সাবেক আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আমির মাওলানা আহসানুল হক জসিম, সেক্রেটারি মাওলানা আলাউদ্দিন ফরাজি, মনপুরা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা শামসুউদিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা ইউনুস, শুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য হাফেজ মতিউর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শোভাযাত্রা শেষে রামনেওয়া নতুন বাজারে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন,
আজকের এই শোভাযাত্রা প্রদর্শনেচ্ছা নয় এটি ইসলামের পক্ষে গণজাগরণের প্রতিচ্ছবি। মানুষ দুনিয়াবী মতবাদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ইসলামের দিকে ফিরছে এই শোভাযাত্রা তার বাস্তব প্রমাণ। আমরা বিশ্বাস করি, আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়-ইনসাফের ইসলামের বাংলাদেশ।
সমাপনী বক্তব্যে ভোলা-৪ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল বলেন,
দাঁড়িপাল্লার পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তার সুফল ঘরে তুলতে সকল ইসলামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এলাকার প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে অসম্পূর্ণ কাজগুলো শেষ করে চরফ্যাশন-মনপুরাকে একটি মডেল আসন হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
শোভাযাত্রা চলাকালে রাস্তার দুই পাশে উৎসুক জনতা হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের অভিবাদন জানায়। বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিশু-কিশোর ও যুবকরাও শোভাযাত্রায় যোগ দেয়। দাঁড়িপাল্লার স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। নারীরাও বাড়ির আঙিনা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপভোগ করেন।
শত শত মোটরসাইকেল সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ হয়ে চলায় এক ভিন্ন সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়। উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জামায়াতের শৃঙ্খলার প্রশংসা করে বলেন,
৫ আগস্টের পর থেকে জামায়াত যেভাবে মানুষের পাশে থেকেছে এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে দূরে অবস্থান নিয়েছে, তাতে সারাদেশে তাদের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ভোটের হিসাব বদলে যেতে পারে।