মো শাকিল খান রাজু সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
ভোলার মনপুরায় মেঘনায় দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকার সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানছে না জেলেরা।প্রতিনিয়ত শত শত নৌকা নিয়ে মেঘনায় অবাধে মাছ শিকার করছে জেলেরা।এতে মাছ প্রজনন ও বংশ বিস্তার ব্যাহত হচ্ছে ।স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও মেঘনায় অভিযান পরিচালনা না করায় জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করছে বলে অভিযাগ স্থানীয় জেলে ও মৎস্য আড়তদারদের।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেঘনায় অবাধ মাছ শিকার বন্ধ করতে সোমবার থেকে অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন।শনিবার ও রবিবার উপজেলার রামনেওয়াজ, হাজিরহাট, দাসেরহাট, মাস্টারহাট,লতাখালি, জনতা ও কোড়ালিয়া মৎস্য ঘাট সংলগ্ন মেঘনায় গিয়ে দেখা গেছে জেলেরা নৌকা নিয়ে মাছ ধরছে অবাধে ।
এছাড়া নিষিদ্ধ বেহুন্দি বসিয়ে মাছ ধরছে জেলরা। আবার জেলের জালে ধরা জাটকা, ছোট ছোট পাঙ্গাশের পোনা অবাধে বিক্রি করছে মৎস্য আড়ত ও হাট-বাজারে।মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ১ মার্চ (রবিবার) রাত ১২ ঘটিকা হতে ৩০ এপ্রিল রাত১২ টা পর্যন্ত মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে জাটকা সহ সব ধরনের মাছ ধরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।এছাড়াও জাটকা সহ সকল ধরনের মাছ পরিবহন, বিক্রি ও সংরক্ষণ নিষেধ করা হয়েছে।
স্থানীয় কামাল, জামাল, হাসান, ইব্রাহীম, রফিক , আলাউদ্দিন সহ একাধিক জেলেরা জানান, প্রতি বছর এই সময়ে মেঘনায় প্রশাসনের অভিযানের কারনে জেলেরা মেঘনায় মাছ শিকার করতো না এই বছর মেঘনায় প্রসাশনের থেকে অভিযান পরিচালনা না করায় অবাধে মাছ শিকার করছে জেলেরা।
এই ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, অফিসের কাজে ভোলায় আছি সোমবার মনপুরায় এসে মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করা হবে এছাড়াও আজকে মেঘনায় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখছে ।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিখন বনিক ঘটনার সত্যতার স্বিকার করে জানান, মৎস্য অফিসার না থাকায় মেঘনায় অভিযানপরিচালনা করা হয় নাই। তিনি (মৎস্য অফিসার) সোমবার আসলেই মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। ক্যাপশন: পিক ১.২.৩.৪মনপুরার মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে মাছ শিকার।