অভিজিৎ কুমার দাস
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : উত্তরবঙ্গ ফোরলেনের রায়গঞ্জের ভূঁইয়াগাঁতী বাসস্ট্যান্ড এলাকা এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত ছয় মাসে এখানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৯ জনের। আহত হয়েছেন ১৫ জনেরও বেশি।
স্থানীয়রা বলছেন, মহাসড়কে এই রাস্তায় কোনো ডিভাইডার না থাকায় দুই দিকের গাড়ি মুখোমুখি চলে আসে। তার ওপর পার্শ্বরাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় দক্ষিণ দিক থেকে আসা গাড়িগুলোকে হঠাৎ মাঝরাস্তায় ঘুরতে হয়। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্টসূত্র মতে গত মে মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই এলাকায় সংঘটিত সাতটি বড় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন নয়জন। এদের মধ্যে রয়েছেন কলেজছাত্র, মোটরসাইকেল আরোহী, ইজিবাইক চালক, ভ্যানচালক ও পথচারী। এছাড়াও আহত অন্তত ১৫ জনের মধ্যে পঙ্গু হয়ে গেছন ৬ জন। ভূঁইয়াগাঁতী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থাকা পার্শ্বরাস্তা বন্ধ হওয়ার পর থেকেই দুর্ঘটনার হার বেড়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বলেন, “এই এলাকায় এখন গাড়ি চালাতে ভয় লাগে। কখন কে ধাক্কা খাবে বলা যায় না। রোড ডিভাইডার না থাকা মানে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা।”
প্রফেসর শংকর কুমার দাস বলেন, “আমরা রোড ডিভাইডার স্থাপন ও পার্শ্বরাস্তা খুলে দেওয়ার বহুবার দাবি জানিয়েছি।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে.এম মাসুদ রানা, সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, “ভূঁইয়াগাঁতী এলাকা এখন দুর্ঘটনাপ্রবণ জায়গা হিসেবে চিহ্নিত। আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রাফিক টহলও বাড়ানো হয়েছে।”
সাসেক প্রকল্প-২ এর উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো: সরফরাজ হোসাইন বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই স্থানে স্থায়ী রোড ডিভাইডার স্থাপন ও বন্ধ পার্শ্বরাস্তা চালুর কাজ প্রক্রিয়াধীন।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একাধিকবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
কলেজে ছাত্র ইকরামুল হক বলেন, “আমরা প্রতিদিন এই রাস্তায় চলি। রাস্তা পার হতে গেলেই মনে হয় প্রাণটা হাতের মুঠোয়।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির জানান, ভূঁইয়াগাঁতী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পার্শ্ব রাস্তার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গাটুকু অধিগ্রহণ করতে হবে। এব্যাপারে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশাকরি অতিদ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।#