শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
ঘোষনা
নড়াইলের লাহুড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ কেজি গাঁজা ও প্রাইভেটকারসহ গ্রেফতার ২ মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহী জেলা ও নগর আ. লীগের উদ্যোগে বিশাল জনসভা শাহজাদপুরে কিশোরের হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শাহজাদপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ শুভ উদ্বোধন মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে ৩৪ কেজি গাজাসহ ২ জন গ্রেফতার দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম বি এ ডি সি ফার্ম দত্তনগরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য হাতির আক্রমণে নিহত জাহিদের পরিবারের পাশে এমপি নিখিল সিপিএল নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সর্দ্দারপাড়া পারচৌপুকুরিয়া দুর্গাপুর

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি শাহরিয়ার খান বিপ্লব সভাপতি প্রার্থী হয়েছি

রানা ইস্কান্দার রহমান
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২
  • ৪৪১ বার পঠিত

গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শাহারিয়া খাঁন বিপ্লব।

এক সাক্ষাৎকারে বিডি গাইবান্ধা ডট নিউজ কে তিনি বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদটি আমার কাছে ফেভারিট। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে এখনো দায়িত্ব পালন করতেছি। আপনারা জানেন আগামী ১৫ মার্চ ২০২২ তারিখে ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে আমি সভাপতি পদ প্রার্থী। আমি সভাপতি পদ প্রার্থী আমি নিজে থেকে হইনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আমি সভাপতি পদ প্রার্থী হয়েছি।

সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ এ আমার ভূমিকা অনেক। আমি একজন মজলুম জননেতা। তাই সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল সদস্য আমাকেই মূল্যায়ন করবেন বলে আমি আশা করি।

আপদেরকে আমি জানিয়ে রাখতে চাই সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ এ আমার উল্লেখ্যযোগ্য রাজনৈতিক ভূমিকা সমূহে আমার বড় আব্বা মরহুম জনাব আসাদুজ্জামান খাঁন ফাঁকা মিয়া সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখা তার হাত ধরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক । ১৯৮৮ সাল সরাদেশে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন । এই আন্দোলনে সারা দেশের ছাত্ররা একত্রিত হয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে । সেই পরিষদের সর্বকণিষ্ঠ সদস্য হিসাবে সাদুল্লাপুর উপজেলা কমিটিতে আমার যোগদান । ১৯৯০ সালে সাদুল্লাপুর বহুমুখী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি পাশ করে সাদুল্লাপুর ডিগ্রী কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হই ও কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হই । ১৯৯২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হই । ১৯৯২ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সে ভর্তি হই এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হই । ১৯৯৪ সালে সাদুল্লাপুর ডিগ্রী কলেজ হইতে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করি ।

১৯৯১ সালে নির্বাচনে পরাজয়ের পর সরকার গঠন করে আর এক নবস্বৈরাচার বেগম খালেদা জিয়া । মন্ত্রী সভায় স্থান দেয় দুই স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার , আলবদর , আলসামছ , মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদকে যার কারনে আবারো নতুন করে আন্দোলন দানা বেধে উঠে । এই আন্দোলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নেতৃত্ব দেই । ১৯৯৫ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারী প্রহসণ মূলক নির্বাচন প্রতিহত করার আহ্বান আসলে সাদুল্লাপুরের আপামর জনসাধারনকে সঙ্গে নিয়ে ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ি । রাজপথে তৎকালীন খালেদা জিয়ার পেটোয়া বাহিনী পুলিশ ও বি.জি.বির সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষে আমাদের আন্দোলনের সাথী নরসুন্দর শ্রমিক সোলায়মান হোসেন বোল্লা শহিদ হন । গুলিবদ্ধ হয় সঞ্জু , বক্কর , বাবু । প্রায় ১৪ টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয় আমার নামে । সঙ্গে মামলায় জড়িত করা হয় সাবেক এমপি আবু তালেব মিয়া , আওয়ামলীগের সাধারন সম্পাদক কাঁকা মিয়া , জাসদ নেতা সাদেক আলী , আনছার আলী সহ আরো অনেককে । পরিশেষে ১৯৯৬ সালের ৮ মার্চ খালেদা জিয়ার পতনের পর ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে আওয়ামলীগ সরকার গঠন করলে আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার হয় । ১৯৯৯ -২০০০ সালে আবারো বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতীক দল নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকার গঠনের আন্দোলন শুরু করলে সাদুল্লাপুরের আওয়ামী পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করি । ২০০৪ সালে সাদুল্লাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করি এবং আমি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যহতি নেই এবং উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সাদুল্লাপুর এর সিনিয়র সহ – সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করি । তারপর একই সালে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে এক ভোটে পরাজিত হই । সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম আসাদুজ্জমান খান ফাঁকা মিয়া মৃত্যুবরন করলে ২০০৪ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই । দল তখন বিরোধী দলে । এসময় গাইবান্ধা জেলার সকল উপজেলা কমিটির সভাপতি ,সম্পাদক গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ,সম্পাদকের নেতৃত্বে দলের সভানেত্রীর সুধাসদনের বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করি । মাত্র ২৮ বৎসর বয়সে দলের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় নেত্রী আওয়ামী লীগের উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মীসমর্থক কে ধন্যবাদ জানান ও আমাকে দোয়া করে বলেন , যাও সাধারন মানুষের জন্য রাজনীতি করবে।এলাকায় গিয়ে সাধারন মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে যাও । এরপর ২০১৬ সালের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে পুণরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছি ।  ২০০৮ সালের নির্বাচনে দল মহাজোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ গহন করে । এই নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চেয়েও পাইনি । দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করি এবং মহাজোটের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি । দলীয় সিদ্ধান্তে ২০০৯ সালে ৩ য় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি । দুর্ভাগ্যবশত জাতীয় পার্টির এম.পি’র বিরোধীতায় প্রায় ১৯,৮২৩ ভোট পেয়েও পরাজয় বরণ করি । ২০১৩ সালের ১২ ই ডিসেম্বর সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে এদেশের শত্রু যুদ্ধাপরাধী মানবতা বিরোধী লুন্ঠনকারী রাজাকার , আলবদর , কাদের মোল্লার ফার্সী হলো ।

২০১৩ সালের ১৩ ই ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার জামাত বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ী মারপিট ও পেট্রোল দিয়ে আমাকেসহ আমার মটর সাইকেল পুড়ে দেওয়ার জন্য উদ্যত হলে আমার সঙ্গে থাকা ছোট ছেলের

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991