শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে সরকারি বিচারপতি নূরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন নিয়ে সর্বমহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ ১১ আগস্ট ২০২২ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১১ঃ ৩০মিনিটের দিকে সরকারি বিচারপতি নূরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের সামনে কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বাবু রতন কুমার দাস গুটি কয়েক ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান কর্তৃক অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনের ব্যানারে কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীর নাম ব্যবহার করায় তাৎক্ষনিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে. এম. হাদিউর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগে তীব্র নিন্দা এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীর নাম ব্যবহার করায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মানববন্ধনের ব্যানারে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের কথা উল্লেখ থাকলেও অল্পসংখ্যক ছাত্র/ছাত্রী ছাড়া কেও উপস্থিত ছিলনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানববন্ধনে উপস্থিত একাধিক ছাত্র জানান, ইচ্ছের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশগ্রহনে বাধ্য করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষকের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যানের কি ঝামেলা হয়েছে তা কিছুই জানি না।
সরকারী বিচারপতি নুরুল ইসলাম মহাবিদ্যালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে.এম. হাদিউর রহমান মুঠোফোনে জানান, কলেজের বাইরে বিচ্ছিন্ন ঘটনার বিষয়টি কলেজ প্রাঙ্গনে টেনে আনা ঠিক হয়নি। ব্যাক্তিগত আক্রোশের কারনের বশবর্তী হয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া শিক্ষক, কর্মচারীর নাম ব্যবহার করে কলেজ প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
মানববন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান জানান, প্রভাষক রতন কুমার দাস একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা এবং বানোয়াট অভিযোগ করে থানায় সাধারণ ডায়রি এবং মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এ বিষয়ে প্রভাষক বাবু রতন কুমার দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিচারপতি নুরুল ইসলাম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হবে।
