
স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ দেলোয়ার হোসেন:
জনগণের হয়রানি কমাতে মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) অনলাইনে গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন থেকে থানায় গিয়ে মামলা ও জিডি করার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানা ও ব্যারাক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। মানুষকে হয়রানি থেকে বাঁচাতে মামলা অনলাইনে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে ইতোমধ্যে সিলেটে অনলাইন মামলা গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই এটি সারাদেশে সম্প্রসারিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আগে অভিযোগ ছিল পুলিশ জিডি ও মামলা নিতে চায় না। এখন থেকে ঘরে বসেই জিডি ও মামলা করা যাবে। থানায় গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর বা দালালের পেছনে ঘোরার প্রয়োজন হবে না।
রিমান্ডে থাকা আসামিদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিশ্চিতে উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, রিমান্ডে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাঁচের মতো স্বচ্ছ ঘর তৈরি করা হবে। যেন সবাই দেখতে পারে, কোনো অনিয়ম বা নিপীড়ন হচ্ছে কি না।
মামলার তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে একেকটি মামলায় ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে। এতে তদন্তে দীর্ঘ সময় লাগছে। এভাবে মামলায় নিরীহ মানুষ জড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। আমরা চাই নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়।
দুর্নীতি ইস্যুতে তিনি কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেন, দুর্নীতি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা, যা রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। পুলিশ বাহিনীতে কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে ছাড় নেই। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জন কর্মকর্তাকে অ্যাটাচ করা হয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পাঠানো হবে।
সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা যদি সত্য লেখেন, সঠিক তথ্য দেন, তাহলে অনেক কিছু ঠিক হয়ে যাবে। দুর্নীতি রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এ সময় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. মোঃ নাজমুল করিম খানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।