গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ভোট কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের মারধর ও আটক করে রাখার ঘটনায় হওয়া মামলা থেকে বাঁচতে বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজয়ী প্রার্থী মোমিনুল ইসলাম প্রেসক্লাব গাইবান্ধা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে মোমিনুলের পরিবারের সদস্য শাহিন আলম, শাহআলম, আমিনুল ইসলামসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মোমিনুল ইসলাম বলেন, পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ফুলছড়ি উপজেলার ৬ নম্বর এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী হিসেবে মোরগ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। নির্বাচনে দুইটি কেন্দ্রের ফলাফলে আমি চর চৌমহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৯৫ ও আনন্দবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪১ ভোটসহ মোট ৫৩৬ ভোট পাই।
অন্যদিকে আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী
টিউবওয়েল প্রতীকের আবু বক্কর চর চৌমহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পায় ৩৩ ভোট এবং আনন্দবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৪৭ ভোটসহ মোট পায় ৪৮০ ভোট। আমি আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৫৬ ভোটের ব্যবধানে ইউপি সদস্য (মেম্বার) হিসেবে নির্বাচিত হই এবং নির্বাচন কর্মকর্তারা আমাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে ফলাফলপত্র আমার হাতে তুলে দেয়।
এর আগে আবু বক্কর ও তার সমর্থকরা ভোট গণনা শেষে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভোট কেন্দ্রে থাকা ব্যালট বাক্সসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর ও ছিনতাই করে নিয়ে যায়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশ ও নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা আনসারসহ সব কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালায়।
এ ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারি লুটপাট, ছিনতাই ও হামলার অভিযোগে ফুলছড়ি থানায় একটি মামলা করেন ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মহসিন আলী। সেখানে আবু বক্করকে প্রধান করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০/২৫০ জনকে আসামি করা হয়।
মোমিনুল ইসলাম বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু বক্কর হেরে গিয়ে আমার প্রাপ্ত ফলাফলকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ আমার নামে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছে।
শুধু তাই নয়, সম্মানহানীসহ আমার নামে বিভিন্নভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। একইসঙ্গে নির্বাচনী ফলাফল ওলটপালট করার অশুভ চেষ্টা করে আমার নামে ভোটের ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যে অভিযোগ দাখিল করে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান মোমিনুল। সেই সঙ্গে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।