ইমরান খান-সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
রবি শস্য উৎপাদনের জন্য জমি কর্ষণে মেতে উঠেছে কাঞ্চনপাড়ার সাধারণ কৃষকেরা।প্রতি বছরের চেয়ে এবার কৃষকেরা এ রবি শস্যের উপাদান সমূহ উৎপাদনে বেশি আগ্রহ।কারণ প্রতি বছর কৃষকেরা যে পরিমাণ আমন ধান পায় এবছর এর অধিক পরিমাণ আমন ধান পেয়েছে এবং আগের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ পেয়েছে।
প্রতি বছর কৃষকেরা আমন ধান বিঘা প্রতি পায় ১৭-১৮ মন এতে তাদের সব মিলে আসে ১৮-২০ হাজার টাকা সবমিলে তাদের খরচ যদি ১৪-১৫ হাজার টাকা হয় এতে তাদের সামান্য পরিমাণ খরচ উঠে আসতো এমনকি মাঝে মাঝে লস ও গুনতে হতো কিন্তু এবছর কাঞ্চনপাড়ার কৃষকেরা বিঘা প্রতি ধান পেয়েছে ২৬-২৭ মন এবং এর বাজার মূল্য ৩০ হাজার এর অধিক এতে অন্য বছরের চেয়ে এবছর তাদের দ্বিগুণ লাভ হয়েছে।এতে রবি শস্য উৎপাদনে তাদের মনমানসিকতা আগের চেয়ে দ্বিগুণ বলে জানা যায়।
তাই সব মিলে রবি শস্য উৎপাদনে কাঞ্চনপাড়ার কৃষকেরা তাদের ফসলের অধিক লাভের জন্য এবছর অতি আগ্রহী।রবি শস্য সাধারণত শীতকালীন ফসল।রবি শস্যের বীজ শীতকালে জমিতে বপন করা হয় এবং বসন্তকালে তা কৃষকেরা ঘরে তুলে। রবি শস্য উৎপাদনের জন্য শীতল ও শুষ্ক আবহাওয়া প্রয়োজন হয়।
রবি শস্যের মধ্যে শস্য:গম,যব ওটস। ডাল:মসুর, মটর, ছোলা,সয়াবিন।তেলবীজ:সরিষা তিল ও অন্যান্য ফসল সমূহ হলো আলু,গাজর ও কপি।যা উৎপাদন করে যতটা এবছর ব্যয় হবে তার অধিক অর্থ এ বছর কৃষকেরা পাবে বলে মনে করেন কাঞ্চন পাড়ার সর্ব স্তরের কৃষকেরা। তাই তারা এবার আগের চেয়ে অতি উৎসাহিত রবি শস্য উৎপাদনের জন্য এবং সেই সাথে আনন্দের সহিত মেতে উঠেছে জমি কর্ষণে।