কে এম নাছির উদ্দিন সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার:
বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রবীন্দ্র গবেষণায় অনন্য অবদান রেখে যাওয়া শিক্ষাবিদ, কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর নাছিমউদ্দিন মালিথা-র ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ইন্তেকাল করেন তিনি।
তাঁর স্মৃতিচারণে শুক্রবার সকাল ১০টায় শাহজাদপুর শহীদ স্মৃতি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এক হৃদয়স্পর্শী আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে শাহজাদপুর সচেতন নাগরিক ফোরাম।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, এবং সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক মির্জা হুমায়ুন।
উপস্থিত ছিলেন মরহুমের সন্তান ও প্রখ্যাত সাংবাদিক চকোর মালিথা।
সভায় বক্তারা বলেন, “প্রফেসর নাছিমউদ্দিন মালিথা ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজাদপুর-এর অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির মর্মবস্তু তিনি নিজের জীবনের প্রতিটি পরতে বুনে গিয়েছিলেন। শিক্ষক, কবি, গবেষক, সমাজসেবক— এক কথায় তিনি ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর।”
আলোচনায় অংশ নেন শাহজাদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক মোঃ নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মরহুমের দৌহিত্র সাদিত বিহঙ্গ মালিথা, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব মইনুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক জাবেদ ইকবাল, অধ্যক্ষ হায়দার আলী, অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন, শিবলী মাহবুব, সহকারী অধ্যাপক সরওয়ারদি আজাদ ও মাহবুবুর রহমান, প্রধান শিক্ষক নবি নেওয়াজ, শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম, প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী আদিব শাফায়েত আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহজাদপুর সচেতন নাগরিক ফোরামের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আবু জাফর।
পরিবারের পক্ষ থেকে বাদ আসর শাহজাদপুর ওয়ারেসিয়া কবরস্থান ঈদগাহ মাঠে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া প্রফেসর মালিথার জন্মস্থান রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে মালিথা বাড়ি জামে মসজিদেও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে দেশের স্বনামধন্য কলেজে শিক্ষকতা করে যাওয়া এই প্রজ্ঞাবান মানুষটি রবীন্দ্রচেতনার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছিলেন। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর ভূমিকা ও দৃষ্টিভঙ্গি আজও অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে আছে নতুন প্রজন্মের কাছে।