শ্রী মনোরঞ্জন চন্দ্র, নওগাঁ, প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর থানা পুলিশ মামলার সূত্রধরে অভিযান চালিয়ে আন্ত:জেলা চোর চক্রের ৫জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করাসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান, চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল, ১৪টি মোবাইল ফোন ও একটি কাটারসহ কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল উদ্ধার করেছে। শুক্রবার দুপুরে রাণীনগর থানা প্রাঙ্গনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্যগুলো জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান।
এসময় তিনি জানান, উজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের তাছের আলী সরদারের ছেলে হাসিবুল হাসানের হাসপাতাল মোড় এলাকায় সুফিয়া মার্কেটে অবস্থিত মোবাইলের দোকানের তালা খুলে কেচি গেট ও সাটারের তালা কেটে গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৫তারিখে চুরি হয়। এসময় চোরেরা বিভিন্ন ব্রান্ডের ৪৭টি মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়। পরের দিন হাসিবুল হাসান বাদী হয়ে রাণীনগর থানায় দোকার চুরির একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে জেলা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি দল গত কয়েকদিন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গোপনে অভিযান চালিয়ে এই সক্রিয় সদস্যদের ও চুরি করা মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো চোর চক্রের প্রধান জেলার মান্দা উপজেলার আবিদ্যপাড়া গ্রামের নাছির উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে সান্টু (২৩), একই উপজেলার পারশিমলা গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে সাকিবুর রহমান রনি ওরফে ময়নুল (২৫), পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আখতার হোসেন ওরফে আপু (৩৮), আত্রাই উপজেলার চকশিমলা গ্রামের মফিজ সরদার ওরফে উদার ছেলে মামুনুর রশিদ মামুন ওরফে মন্টু (৩২) ও একই উপজেলার হাট কালুপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩২)।
গ্রেফতারকৃতদের শুক্রবার বিকেলে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন পূর্বক আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান গাজিউর রহমান। এসময় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ, ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা, এসআই সাজ্জাদ হোসেন সহ থানার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং জেলা ও রাণীনগর উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন নওগাঁ জেলা পুলিশের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কয়েকদিন আগেও আমরা পুলিশ সুপার রাশিদুল হক স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক ৫জন আন্ত:জেলা ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেফতার চোর চক্রের এই সদস্যরা ৭/৮বার বিভিন্ন অপরাধে জেল খেটেছে। এছাড়া এমন কোন চুরি নেই যা এই আসামীরা করে না। তাই এদের কাছ থেকে আরো তথ্য পাওয়ার জন্য আদালতের কাছে এদের ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। যদি আদালত রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন তাহলে আমি আশাবাদি এই আসামীদের কাছ থেকে আরো তথ্য জানা যাবে এবং সেই মোতাবেক আরো সদস্য ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব।