
নিজস্ব প্রতিবেদক
চুয়াডাঙ্গার অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাওতুল কুরআন নূরানী কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসায় মহান শিক্ষাবিদ ও আলেম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (রহ.)-এর স্মরণে ও নূরানী কিতাব বিভাগের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পুরো প্রাঙ্গণে ছিল অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ব্যাপক ভিড়। আয়োজনটি ঘিরে মাদ্রাসা এলাকায় সৃষ্টি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা–২ আসনের এমপি প্রার্থী জনাব মোঃ রুহুল আমিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন—
“বর্তমান প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে নৈতিক ও দ্বীনি শিক্ষার বিকল্প নেই। একটি শিক্ষিত, আদর্শবান ও চরিত্রবান জাতি গঠনে পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সন্তানদের নৈতিকতার ভিত্তি গঠনে নূরানী শিক্ষা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।”
তিনি আরও ঘোষণা দেন যে, জনগণের সমর্থনে নির্বাচিত হতে পারলে তিনি এলাকার নূরানী, কওমি এবং মৌলিক ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষাসামগ্রী সহায়তা, শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ সকল প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ। ব্যানারের তথ্য অনুযায়ী, নূরানী কিতাব বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। বেশিরভাগ অভিভাবকই সন্তানের শিক্ষা, চরিত্র গঠন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকার প্রতি আস্থা ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, নৈতিক অবক্ষয় রোধে এবং সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে দেনী শিক্ষা বিস্তার অপরিহার্য। নূরানী শিক্ষা শিশুদের কোরআন শিক্ষা, আকিদাহ, আচরণ-নৈতিকতা, শিষ্টাচার ও মানবিক মূল্যবোধ শেখায়—যা জীবনের প্রতিটি ধাপে তাদের সচ্চরিত্রবান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (রহ.)-এর রূহের মাগফিরাত, শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সুস্বাস্থ্য এবং দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানের অন্যতম শিক্ষক, যিনি তাঁর বক্তব্যে এ মহান আলেমের জীবন ও অবদান স্মরণ করেন।
সমগ্র আয়োজনটিতে অভিভাবক ও অতিথিদের অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত প্রাণবন্ত এবং স্বতঃস্ফূর্ত। সাওতুল কুরআন নূরানী কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়—ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের মানসম্মত দ্বীনি শিক্ষা নিশ্চিত করতে তারা আরও ফলপ্রসূ কর্মসূচি গ্রহণ করবে।