
আজহারুল ইসলাম সাদী, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাবেক প্রধান মন্ত্রী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে, পাশাপাশি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, সহ-সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, দপ্তর সম্পাদক মাসুদুর জামান সুমন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আকরামুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে এড. খায়রুল বদিউজ্জামান, আবু তালেব, কাজী জামালউদ্দিন মামুন, আব্দুস সামাদ, আসাদুজ্জামান সরদারসহ প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার এভারকেয় হাসপাতালে মঙ্গলবার ভোর ছয়টার সময় ইন্তেকাল করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে জানিয়েছেন, “আম্মা আর নেই।”
বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজেও খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়েছে, “বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ সকাল ৬টায় ফজরের ঠিক পরে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আমরা তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং সকলের নিকট তাঁর বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া চাচ্ছি।”
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গত ২৩ নভেম্বর তাকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।