খন্দকার জলিল, পটুয়াখালী জেলা ব্যুরো প্রধান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হাসান মামুন বলেছেন, আমার সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে দলের পক্ষে সংগ্রাম করেছি। গলাচিপা-দশমিনা থেকে শুরু করে পটুয়াখালী, বরিশাল এবং ঢাকার বিভিন্ন আন্দোলন, মিছিল ও দলের কর্মসূচিতে আমি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। দুইবার কারাবরন করেছি, কিন্তু দলের প্রতি ভালোবাসা ও আনুগত্য কখনও কমে যায়নি।
সম্প্রতি এনটিভির এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দল যদি জনপ্রিয়তাকে বিবেচনায় নেয়, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিএনপি আমাকে মূল্যায়ন করবে। আমি রাজনীতি করেছি মানুষের সেবার জন্য, নিজের স্বার্থে নয়। রাজনীতি আমার কাছে একটি পবিত্র দায়িত্ব, যা মানুষের কল্যাণের জন্যই করা উচিত।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হাসান মামুন দীর্ঘদিন ধরে গলাচিপা-দশমিনা অঞ্চলে জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি একজন মানবিক, সৎ ও নির্লোভ রাজনীতিক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সহায়তা, শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা, ও নানা সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তিনি সবসময় এগিয়ে আসেন। সাধারণ মানুষ তাকে ভালোবাসে, কারণ তিনি নিজের অবস্থান থেকে প্রতিনিয়ত সমাজ ও দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাসান মামুনের মতো পরিশ্রমী, শিক্ষিত এবং নির্ভেজাল রাজনীতিক এই এলাকায় বিরল। তার কোন খারাপ নাম বা বিতর্ক নেই। গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার প্রতিটি গ্রাম ও ওয়ার্ডে তার জনপ্রিয়তা আজ দৃশ্যমান।
বিগত ৪৬ বছরে গলাচিপা-দশমিনা সংসদীয় আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেননি। তবে এবার এলাকার সাধারণ মানুষ আশাবাদী। তারা মনে করছেন, হাসান মামুনের মতো পরিচ্ছন্ন ও জনবান্ধব নেতাকে প্রার্থী হিসেবে পেলে বিএনপি এই আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।
এনটিভির সাক্ষাৎকারে হাসান মামুন আরও বলেন, বিগত সরকার এই এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো কাজ করেনি। অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান সব ক্ষেত্রেই গলাচিপা-দশমিনা পিছিয়ে আছে। তিনি বলেন, জনগণ যদি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে, আমি এই এলাকার উন্নয়নই হবে আমার প্রথম দায়িত্ব। এই অঞ্চলের প্রতিটি মানুষ যেন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে, সে লক্ষ্যেই কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই গলাচিপা-দশমিনা হবে এমন এক মডেল এলাকা, যেখানে তরুণরা চাকরির জন্য শহরে নয়, বরং নিজেদের এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা থাকবে সবার নাগালে, গ্রামীণ সড়ক হবে উন্নত, কৃষক ও জেলেরা পাবে প্রকৃত সহযোগিতা।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হাসান মামুনের নেতৃত্বে এখন গলাচিপা ও দশমিনার রাজনীতিতে এক নতুন জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। দলের তৃণমূল কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে। সাধারণ মানুষও এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, পরিবর্তনের সময় এসেছে।
এলাকাবাসী মনে করেন, হাসান মামুন শুধু রাজনীতিবিদ নন — তিনি একজন সৎ, শিক্ষিত ও কর্মপ্রাণ মানুষ, যিনি এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। তাকে কেন্দ্র করে এখন গলাচিপা-দশমিনা জুড়ে এক নবউদ্যম ও আশার আলো জ্বলে উঠেছে।