বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১২ অপরাহ্ন
ঘোষনা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিবন্ধী সেজে স্বপরিবারে  ভাতা তুলছেন মহিলা ইউ পি সদস্য  গোদাগাড়ীতে নববর্ষের উৎসবে বাঙালি সংস্কৃতির স্বাদ নিলেন বিদেশিরা সাফল্যগাথা XFortune Tours & Travels ৬ বছরে যাত্রা পথে শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে বিএনপি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ভাটোপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল চাকরিচ্যুত কারারক্ষী মনিরুল ইসলাম বিরুদ্ধে যত অভিযোগ গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানলো জাতীয় কবিতা পরিষদ । হৃদয়ে-হাহাকার লেখকঃ- খান সেলিম রহমান: সাতক্ষীরায় এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক-১ জন পটুয়াখালীর গলাচিপায় হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ইমাম মাহদী বলে দাবি করায় যেতে হলো কারাগারে 

২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উপলক্ষে,শুদ্ধতার অগ্রযাত্রার শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২৫১ বার পঠিত

আনিছ মাহমুদ লিমনঃ
আজ আন্তর্জা‌তিক মাতৃভাষা দিবস, অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও মহান ভাষা শহীদ দিবস। জাতিসংঘের উদ্যোগে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ভাষা শহীদদের স্মরণে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়।৭০ বছর আগের এই দিনে মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার দাবিতে শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অকুতোভয় বীর সন্তানরা নেমে এসেছিলেন রাজপথে। বুকের তাজা রক্তে বসন্তের রাঙা ফুলের মতোই রাঙিয়ে দিয়েছিলেন ঢাকার রাজপথে। মাতৃভাষার দাবিতে আত্মদানের এক অভূতপূর্ব অধ্যায় সেদিন সংযোজিত হয়েছিল মানব ইতিহাসে। গতকাল সোমবার সেই অনন্য স্মৃতিধন্য দিন, আত্মদানের গৌরবের দিন। আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) ১৯৯৯ সালে মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবস‌টি উপল‌ক্ষে রাষ্ট্রপ‌তি মো. আবদুল হা‌মিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে এ দেশের রাষ্ট্রভাষার দাবিতে এক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, শফিক। তাঁদের রক্তের পথ বেয়ে বাংলা এ দেশের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পায়।

বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগের দিনটির স্বীকৃতি এখন বিশ্বজুড়েই। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতির পর প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে সারা বিশ্বেই পালন করা হয়।

গতকাল সারা দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করা হয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো, ‘প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বহুভাষায় জ্ঞানার্জন : সংকট এবং সম্ভাবনা’। অমর একুশে উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে গতকাল ছিল ছুটির দিন।

বাঙালির প্রাণের দিবস একুশে ফেব্রুয়ারির তাত্পর্য বহুমাত্রিক। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ সালের পর এ দেশের আপামর জনগণের অধিকার রক্ষার প্রতিটি আন্দোলনে একুশে ফেব্রুয়ারি চেতনার বাতিঘর হয়ে পথ দেখিয়েছে। এ দিনটি এ দেশের মানুষের কাছে আত্মত্যাগ ও জাগরণের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

একুশের প্রথম প্রহরে মানুষের ঢল নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি’ গান গেয়ে লাখো মানুষ যায় শহীদ মিনারে। সেখানে ফুল দিয়ে, শ্রদ্ধাবনত চিত্তে ভাষাশহীদদের স্মরণ করা হয়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেছেন, কালের আবর্তে পৃথিবীতে অনেক ভাষাই আজ বিপন্ন। একটা ভাষার বিলুপ্তি মানে একটা সংস্কৃতির বিলোপ, জাতিসত্তার বিলোপ, সভ্যতার অপমৃত্যু। তাই মাতৃভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশসহ সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনে বাঙালি কৃতী সন্তানদের চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে পূর্ব বাংলার মানুষের জন্য একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে গত ১৩ বছরে দেশের আর্থসামাজিক খাতের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করবো।

তারই ধারাবাহিকতায় ‌‌গতকাল ,
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা জেলা ও শুদ্ধতার অগ্রযাত্রা সংগঠনের উদ্যোগে মাহান ২১ শে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়, শোভাযাত্রাটি শুদ্ধতার অগ্রযাত্রা সংগঠনের প্রধান কার্যালয় মিরপুর ৬ থেকে শুরু করে প্রশিকা মোড় হয়ে শের এ বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রদক্ষিন করে ২নং মিরপুর ন্যাশনাল বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে, একমিনিট নীরবতা পালন করেন , এবং দোয়া করেন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে শোভাযাত্রা টি শেষ হয় এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি
সকল ভাষা শহীদের স্বরনে বক্তব্য রাখা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শুদ্ধতার অগ্রযাত্রার চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ঢাকা বিভাগের সভাপতি ও সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবুল,আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক রোজী আক্তার, ঢাকা বিভাগ। নাসিমা আক্তার উর্মী,মহিলা বিষয়ক সম্পাদীকা বাংলদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা বিভাগ এবং শুদ্ধতার অগ্রযাত্রার সন্মানিত সদস্য বৃন্দ।
২১শের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়
ব্যাক্ত করে শোভাযাত্রা টি শেষ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991