৩ বছরের অধিক সময়ে আবাদযোগ্য জমি অনাবাদি রাখায় সন্দ্বীপ হারামিয়া মৌজার ২.৭০ একর জমি খাস করলেন ভ্রাম্যমান আদালত।
গত ১৩ই সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় নির্দেশনা দেওয়া হয় ৩ বছরের অধিক সময়ে আবাদযোগ্য জমি অনাবাদি রাখা হলে সেই জমি খাসে পরিনত করা হবে।তারই ধারাবাহিকতায় আজ ১২ই নবেম্বর রোজ শনিবার সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।উক্ত ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন সন্দ্বীপ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন।
এই সময় ৩ বছরের অধিক সময়ে আবাদযোগ্য জমি অনাবাদি রাখায় সন্দ্বীপ হারামিয়া মৌজার ২.৭০ একর জমি রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন,১৯৫০ এর ৯২(১)(গ)ধারা প্রয়োগ করে খাস করনের কার্যক্রম শুরু করেন সন্দ্বীপ উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি)মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন।
এই সময় ভ্রাম্যমান অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া সহকারী কমিশনার(ভূমি)মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন এই ধরনের জমি ৩ বছরের অধিক সময়ে আবাদযোগ্য জমি অনাবাদি রাখলে আমরা সেটা খাস করনের কার্যক্রম করবো।
তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি কিন্তু সে তুলনায় জমির পরিমাণ কম সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকলকে জমি অনাবাদি না রেখে চাষের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন।এতে করে একদিকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে।তাই সকলকে নিজ নিজ জমি পতিত না রেখে আবাদ করার অনুরোধ করেন। অন্যথায় বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করে জমি খাস করা হবে।