নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর নয়টি উপজেলার ২৩২টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা গত ৮ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জটিলতায় বেতন বন্ধ রয়েছে।
অনেকেই সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। কেউ কেউ নিচ্ছেন ঋণ। কেউবা ভাবছেন পেশা পরিবর্তনের।
গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী রকিয়া খাতুন সময়ের আলোকে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন শত শত রোগীকে সেবা দিচ্ছি, অথচ ৮ মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে গেছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মী বলেন, ‘বাজারে জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। এখন আর দোকানদারও বাকিতে জিনিস দিতে চায় না। পরিবার নিয়ে কীভাবে দিন পার করছি, সেটা কাউকে বোঝাতে পারব না।’
গোদাগাড়ী উপজেলা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম জানান, ৮ মাস বেতন বন্ধ থাকায় ২৩২ জন স্বাস্থ্যকর্মী অসহনীয় অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন, সন্তানদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার সমিতির রাজশাহী বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম অন্তর বলেন, বেতন বন্ধের মূল কারণ রাজস্ব খাতে স্থানান্তর সংক্রান্ত আইনি জটিলতা। হাইকোর্ট প্রথমে রাজস্ব খাতে নেয়ার পক্ষে রায় দিলেও আপিলে ট্রাস্টের পক্ষে রায় হয়। ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, কিন্তু এখনো স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মাহবুবা খাতুন বলেন, বেতন সংক্রান্ত বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।