সাথী সুলতানা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ পাঙ্গাসী ইউনিয়ন এর ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার লিটন একটা নারীর ইজ্জত এক লাখ বিশ হাজার টাকায় গোপনে রফাদফা করলেন। গত সোমবার ২৯ শে জানুয়ারী আনুমানিক রাত দশটায় এলাকার স্থানীয় মেম্বার লিটন, সাবেক মেম্বার আকতার হোসেন, নাসির উদ্দীন আরেক লিটন সহ তারা উক্ত শালিসি ঘটনায় জড়িত। এলাকার বেংনাই গ্রামের কুড়ান এর নাতী ও আবু সাইদ এর ছেলে সাইম তিননান্দিনা গ্রামের বাবু শেখ এর মেয়ে তানজিলা খাতুনকে বিয়ে এবং অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়ানোর প্রলোভন ও বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে গত ২৭ শে জানুয়ারী নিজ বাড়িতে নির্জন ঘরে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়ানোর চেষ্টা করলে পার্শবতি লোকজন টের পায় পরে ছেলে সাইম এর পরিবারের সবাই তানজিলাকে ব্যাপক মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দেন ।
অত্যাচার সইতে না পেরে মেয়ে তানজিলা খাতুন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে অন্য পাড়া মেয়েটার এক আত্বীয়র বাড়িতে আশ্রয়ের জন্য পাঠিয়ে দেয় । এর পর উপরে উল্লেখিত মেম্বার লিটন, আকতার নাসির সহ অনেকেই ঘটনা মীমাংসার কথা বলে ছেলে সাইম এর দাদা, বাবার নিকট থেকে এক লাখ বিশ হাজার নগদ টাকা আদায় করে । এবং পরে মীমাংসার এক পর্যায়ে মেয়ে তানজিলার বড় ভাইকে ষাট হাজার টাকা প্রদান করে এবং বাকী ষাট হাজার টাকার কোন খবর নাই। এদিকে এলাকাবাসী জানতে চায় বাকী ষাট হাজার টাকা কোথায় গেলো? এই বিষয়ে অভিযুক্ত মেম্বার লিটন মুঠোফোনে জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত সিরাজগঞ্জ রিপোর্টার সাথী সুলতানা কে বলেন যে উক্ত শালিসি তে কোনো টাকা দিয়ে রফাদফা হয়নি । এদিকে অভিযুক্ত আরেক মাতব্বর নাসির এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে শালিসি তে ষাট হাজার টাকায় রফা দফা হয় ।
এই বিষয়ে পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন আমার কাছে এরা আসলে আমি ছেলে এবং মেয়ের অভিভাবকদের কাছে ছেলে ও মেয়েকে বুঝিয়ে দেওয়ায় সিদ্ধান্ত দেই । এবং যার যার ছেলে মেয়েকে তারা নিয়ে গেছে। এ নিয়ে দরবার শালিশ হয়েছে কিনা তা আমার জানা নাই। তবে টাকা পয়সার বিনিময়ে দেন দরবার হলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।