শাহজাদপুরে চাঞ্চল্যকর নাইট গার্ড ফেরদৌস হত্যার রহস্য উদঘাটন
কে এম নাছির উদ্দীন সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চাঞ্চল্যকর নাইট গার্ড ফেরদৌস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন প্রসঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে শাহজাদপুর থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান তিনি জানান ফেরদৌস উপজেলার মশিপুর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে সে ৫ জানুয়ারি সকালে তার কর্মস্থল আর.কে টেক্সটাইল মিলে গিয়ে আর ফিরে আসেনি সে নিখোঁজ এই মর্মে তার পিতা ৮ জানুয়ারি শাহজাদপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন থানায় জিডি হওয়ার সাথে সাথে শাহজাদপুর থানা পুলিশ তদন্তে নেমে পড়েন এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার ক্লু উদঘাটন করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তিকে চিহ্নিত করে। ফেরদৌস এর বাবা আক্কাস আলী বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় অজ্ঞাতনামা দের আসামী করে একটি হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করলে অফিসার ইনচার্জ মামলা রুজু করেন। সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম(বার), পিপিএম (বার) দিকনির্দেশনায় এবং শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, পিপিএম-সেবা ও অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাশার দ্বয়ের তত্বাবধানে শাহজাদপুর থানার এসআই (নি:) মোঃ শারফুল ইসলাম ও এসআই (নি:) মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম দ্বয়ের নেতৃত্বে শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম ১০ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে নয়টায় ডিএমপি, ঢাকার আদাবর থানাধীন সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ১। মোঃ মামুন হোসেন (৩০), পিতা মোঃ আনোয়ার সাং ঘোড়শাল,থানা: শাহজাদপুর, জেলা : সিরাজগঞ্জ কে গ্রেফতার করে এবং তার জিম্মা হইতে ভিকটিম ফেরদৌস এর লুন্ঠিত এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য মতে শাহজাদপুর থানাধীন আর.কে.টেক্সটাইল মিলস এর ভিতরে মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় ভিকটিম মৃত ফেরদৌসের লাশ উদ্ধার করে তার শনাক্ত মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কম্বল ও লোহার সোলাই রেন্জ এবং গর্ত করার কাজে ব্যবহৃত কোদাল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে। গ্রেফতারকৃত মামুন পেশায় একজন কাপড়ের প্রিন্ট ডিজাইনার।