নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিনিয়তই দেখা যায় পত্রপত্রিকা খুললে চোখে পরে নারী নির্যাতন কিন্তু আমাদের সমাজে পুরুষ নির্যাতন এই কথাটি আমরা পত্রপত্রিকা দেখতেই পাই না তেমনি এক পুরুষ নির্যাতিত হয়েছেন এক সুন্দরী নারীর প্রতারণার মাধ্যমে।
প্রতারক সুন্দরী নারীর বর্ণনা নিচে দেও হলো যেমন
তামান্না আক্তার ফেন্সি পিতা- মোঃ রফিকুল ইসলাম সাং- মেহেরচন্ডী পূর্বপাড়া পদ্মা আবাসিক থানা- চন্দ্রিমা রাজশাহী মহানগর
বিবাহের দুই দিন পর, গত ২২/১১/২০২৪ইং তারিখ দুপুরে বাদী ১নং আসামীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন।
মামলায় আসামি ১ তামান্না আক্তার ফেন্সি ২ মোঃ তুহিন,২, মোঃ শাহীন
৩, ও ৪, স্বাধীন।
বিজ্ঞ রাজশাহী আদালতে চার টি মামলা হয়েছে ১নং আসামী ২-৪নং আসামীর প্ররোচনায় বাদীর নিকট রাজশাহী শহরে একটি ফ্ল্যাট ও দুই কাঠা জমি দাবী করে। বাদী ১নং আসামীর উক্ত দাবীগুলো পরে পূরণ করবে মর্মে জানালে, ১নং আসামীর উক্ত দাবীগুলো পূরণ করার পরই সে বাদীর সাথে সংসার করবে নচেৎ বাদীকে তালাক দিবে মর্মে সাফ জানিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে, বিবাহের মাত্র ০৪ (চার) দিন পর, স্বামীর সাথে সহবাসের পূর্বেই ১নং আসামী গত ২৪/১১/২০২৪ইং তারিখ বাদীকে তালাকের নোটিশ প্রদান করেন। তালাকের নোটিশ পাওয়ার পর স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে বাদী মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। অতপর বাদী ১নং আসামীর বিরুদ্ধে গত ২৯/১১/২০২৪ইং তারিখ চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,
প্রায় ০২ (দুই) বছর পূর্বে ১নং আসামীর সাথে পরিচয় হয় ও ধীরে ধীরে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। ১নং আসামী তার ভাই ২ ও ৩নং আসামীর সাথে পরিচয় অনেক অর্থ-সম্পদ আছে মর্মে অবগত করলে, ১-৪নং আসামীগণ অন্যায়ভাবে অর্থ-সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ১নং আসামী বিবাহের প্ররোচনা দিতে থাকে। যেহেতু, আমার ১ম স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ও বিছানাগত সেহেতু সেবা-যত্নের জন্য তিনি ১নং আসামীকে বিবাহ করতে সম্মত হন।
অতপর ১নং আসামীকে বিবাহ করি, ১নং আসামী নানা প্রয়োজন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমার নিকট হতে প্রায় ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়। সর্বশেষ গত ২০/১১/২০২৪ইং তারিখ ১-৪নং আসামীগণ যোগাযোগ করে ১নং আসামীর সাথে আমার বিবাহের ব্যবস্থা করে। আসামীগণ বিবাহের মোহরানা স্বরূপ ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা নগদ পরিশোধের দাবী করে। এক পর্যায়ে ৩,০৩,০০০/- (তিন লক্ষ তিন হাজার) টাকা মোহরানা ধার্য ও নগদ পরিশোধ করতে সম্মত হই। অতপর আসামীগণের পরিকল্পনা মতে, উক্ত তারিখে অনুমান রাত ০৮.০০ ঘটিকায় আসামীগণ নগদ টাকাসহ কাজী মোঃ রবিউল আলম-এর মেহেরচন্ডী, বোয়ালিয়া, রাজশাহীস্থ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। অতপর মোহনপুরস্থ ৫নং বাকশিমইল ইউ.পি.-এর অপর কাজী মোঃ মোকাদ্দিম হোসেন (শাওন)-কে আসামীগণ ডেকে নিয়ে পরিকল্পনা মোতাবেক বাদীর নিকট হতে ১নং আসামী ৩,০৩,০০০/- (তিন লক্ষ তিন হাজার) টাকা নগদ বুঝে নিয়ে বিবাহ করে।
অতপর ১নং আসামী ‘Hotel X’-এ একটি কক্ষ বুকিং দিতে বলে এবং ৩,০৩,০০০/- (তিন লক্ষ তিন হাজার) টাকা বাড়ীতে রেখে আসার কথা বলে আসামীগণ বাড়ী চলে যায়। ১নং আসামীর কথা মত বাদী ‘Hotel X’-এ ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা প্রদান করে একটি কক্ষ বুকিং দেন এবং ১নং আসামীর পথ চেয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বাদী ১নং আসামীর মোবাইল ফোনে কল করলে, ১নং আসামীর ০১৯৪৬-০৫০৪১২ মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পান। অতপর, বাদী বিভিন্নভাবে ১নং আসামীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন এবং হতাশ হয়ে পড়েন।
পিবিআই এর এসআই সজিব জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকাকে বলেন, একটু সময় লাগবে এ ঘটনা তদন্ত চলছে এখন দেখা যাক কে কে জড়িত তদন্ত শেষে কী দাঁড়ায়, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।